রাজ্যে ইনফোসিস নিয়ে আশাবাদী নারায়ণমূর্তি
পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের বিষয়ে আশাবাদী ইনফোসিসের কর্তা এন আর নারায়ণমূর্তি। তিনি নিজেই শুক্রবার কলকাতায় এ কথা জানিয়েছেন। সরকার সেজের অনুমতি না দেওয়ায় রাজ্যে ইনফোসিস থাকবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই সংশয়ের বাতাবরণের মধ্যেই আজ নারায়ণমূর্তি ইঙ্গিত দিলেন, এখনই আশা হারাচ্ছেন না তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের বিষয়ে আশাবাদী ইনফোসিসের কর্তা এন আর নারায়ণমূর্তি। তিনি নিজেই শুক্রবার কলকাতায় এ কথা জানিয়েছেন। সরকার সেজের অনুমতি না দেওয়ায় রাজ্যে ইনফোসিস থাকবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই সংশয়ের বাতাবরণের মধ্যেই আজ নারায়ণমূর্তি ইঙ্গিত দিলেন, এখনই আশা হারাচ্ছেন না তিনি।
কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ইনফোসিসের মতো দেশের প্রথম সারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার বিনিয়োগ টানতে আগ্রহী রাজ্য সরকার। নিউটাউনে তাদের জমিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সেজের অনুমতি না মেলায় এখনও পর্যন্ত লগ্নিতে উত্সাহ দেখায়নি তারা। ইনফোসিসের বক্তব্য, এই অনুমতি ছাড়া ব্যবসা লাভজনক হবে না। অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও তাদের প্রকল্পকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমতি দিতে হবে। যদিও, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে নারাজ। রাজ্য সরকার সেজের অনুমতি ছাড়া ইনফোসিসকে অন্যান্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিতে রাজি। কিন্তু, দেশের প্রথম সারির এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার বক্তব্য, সেজের অনুমতি ছাড়া এ সবে তাদের কোনও লাভ হবে না। যুক্তি-তর্ক, চাপান-উতোরের মাঝে পড়ে থমকে গেছে এ রাজ্যে সংস্থার প্রকল্পের ভবিষ্যত।
এই অবস্থায় নিউটাউনে সাপুরজি-পালনজি গোষ্ঠীর জমিতে ইনফোসিসের প্রকল্প সরানো হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। সাপুরজি-পালনজি গোষ্ঠী আগেই সেজের অনুমতি পেয়ে যাওয়ায় ইনফোসিসের শর্ত পূরণ হবে। বিনিময়ে সরকারের কাছ থেকে পাওয়া জমি ইনফোসিস তাদের হাতে তুলে দেবে। এই সমাধান সূত্র নিয়ে জল্পনা শুরু হলেও খোদ শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এমন সম্ভাবনার কথা খারিজ করে দিয়েছেন। এসবের মধ্যেই, কলকাতায় ইনফোসিস কর্তা এন আর নারায়ণমূর্তি বললেন, পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ নিয়ে তিনি আশাবাদী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁর মন্তব্য, পিছনে নয়, সামনে তাকাতে চান তিনি।
শুক্রবার, ব্যক্তিগত সফরে কলকাতায় আসেন নারায়ণমূর্তি। যোগ দেন অনুষ্ঠানে। তবে, মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য কোনও সরকারি প্রতিনিধির সঙ্গে তাঁর কোনও আলোচনা হয়নি। রাজ্য সরকারের তরফে বারবার বলা হচ্ছে, ইনফোসিসকে ধরে রাখতে তারা উত্সাহী। তবে, শুধুমাত্র আলোচনার টেবিলে নয়। বাস্তবে, ইনফোসিস এ রাজ্যে লগ্নি করে কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে শিল্পমহল।