ভোটের আগে জনমোহিনী সিদ্ধান্ত, সম্পত্তির নতুন মূল্যায়ন করতে উদ্যোগী কলকাতা পুরসভা
বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে ফের জনমোহিনী সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার। সম্পত্তির বার্ষিক মূল্যায়ন এক লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা হলে, নতুন করে বার্ষিক মূল্যায়ন করানোর জন্য পুরসভার হিয়ারিং কমিটির কাছে আবেদন জানানো যাবে। আবেদনকারীর দাবি সঠিক মনে করলে সম্পত্তির নতুন মূল্যায়নে সিলমোহর দেবে পুরসভা।
ওয়েব ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে ফের জনমোহিনী সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার। সম্পত্তির বার্ষিক মূল্যায়ন এক লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা হলে, নতুন করে বার্ষিক মূল্যায়ন করানোর জন্য পুরসভার হিয়ারিং কমিটির কাছে আবেদন জানানো যাবে। আবেদনকারীর দাবি সঠিক মনে করলে সম্পত্তির নতুন মূল্যায়নে সিলমোহর দেবে পুরসভা।
ভোটের আগে আইন সংশোধন করে বড় অঙ্কের করদাতাদের সুবিধে দিতে উদ্যোগী পুরসভা। শেষ বিধানসভা অধিবেশনে সংশোধিত আইন মোতাবেক একটি হিয়ারিং কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হিয়ারিং কমিটির মাথায় থাকবেন পুর কমিশনার নিজে। যাঁদের সম্পত্তির বার্ষিক মূল্যায়নের পরিমাণ এক লক্ষ টাকার বেশি তাঁরা নতুন করে মূল্যায়ন করানোর জন্য হিয়ারিং কমিটির কাছে আবেদন জানাতে পারবেন।
পুরসভার যুক্তি, এই সিদ্ধান্তের ফলে চটজলদি বেশ কিছু অর্থ পুরসভার ভাঁড়ারে আসবে। কারণ বার্ষিক মূল্যায়ন নিয়ে অসন্তোষের জেরে অনেকেই মামলা করেছেন। পরিসংখ্যান বলছে এখনও তিরিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার সম্পত্তি কর সংক্রান্ত মামলা ঝুলে রয়েছে। সূত্রের খবর এই ধরনের মামলায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরসভা হেরে গেছে। তাই টাকা তুলতে সমঝোতার পথে হাঁটছে পুরসভা।
পাঁচ লক্ষ টাকার ওপর সম্পত্তির বার্ষিক মূল্যায়ন বাকি ২৪১৬ জনের। এক লক্ষ টাকার ওপর সম্পত্তির বার্ষিক মূল্যায়ন বাকি রয়েছে ১৪৮০২ ০জন। পঞ্চাশ হাজার টাকার ওপর সম্পত্তির বার্ষিক মূল্যায়ন বাকি রয়েছে ৩৫১৮১ জনের।
এক লক্ষ টাকার ওপর এবং পাঁচ লক্ষ টাকার ওপর সম্পত্তির বার্ষিক মূল্যায়ন যাঁদের বাকি তাঁদের মূল ট্যাক্স, সুদ ও পেনাল্টির অঙ্ক ২৭০০কোটি টাকা। বার্ষিক মূল্যায়নে হেরফের হলে এই টাকার একটা বড় অংশ পুরসভা হারাবে। ভোটের আগে সমাজের একটি বিশেষ শ্রেণিকে সুবিধে দিতেই পুরসভার এই উদ্যোগ বলে দাবি বিরোধীদের।