নতুন আরেক সার্কুলার নিয়ে বিতর্ক বাড়ল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্ক বাড়াল নতুন আরেক সার্কুলার। এবার তা পাঠানো হয়েছে জুটাকে। সরাসরি প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাঁদের কর্মসূচি নিয়ে। বলা হয়েছে, শিক্ষক সংগঠন জুটার কাজকর্ম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর পথে বাধা। ক্ষুব্ধ জুটার অভিযোগ, শিক্ষকদের আত্মসম্মানে আঘাত করছে কর্তৃপক্ষ।  

Updated By: Oct 14, 2014, 07:47 PM IST
নতুন আরেক সার্কুলার নিয়ে বিতর্ক বাড়ল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

ওয়েব ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্ক বাড়াল নতুন আরেক সার্কুলার। এবার তা পাঠানো হয়েছে জুটাকে। সরাসরি প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাঁদের কর্মসূচি নিয়ে। বলা হয়েছে, শিক্ষক সংগঠন জুটার কাজকর্ম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর পথে বাধা। ক্ষুব্ধ জুটার অভিযোগ, শিক্ষকদের আত্মসম্মানে আঘাত করছে কর্তৃপক্ষ।  

রোজই নিত্যনতুন বিতর্ক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবারের পর মঙ্গলবারও বিতর্কের কেন্দ্রে ফের সার্কুলার। চিঠি আকারে তা জুটাকে পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে,

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু জুটার কাজকর্ম সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ১৩ অক্টোবর থেকে জুটা যে সমস্ত কর্মসূচি নিয়েছে, সেগুলি সবই আদালতের নির্দেশের পরিপন্থী।

সোমবার সকালে অধ্যাপকদের মেলে পাঠানো সার্কুলার নিয়ে এর আগেই শিক্ষামন্ত্রীকে অভিযোগ জানিয়েছে জুটা। এবার নতুন সার্কুলার সেই বিতর্ককে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল।

কিন্তু ঠিক কী রয়েছে জুটার কর্মসূচিতে?
তাঁদের ঘোষণা অনুযায়ী,

13th অক্টোবর- রেজিস্ট্রারের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
15th অক্টোবর- সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে। বিষয়: আগামী কর্মসূচি।
16th অক্টোবর- জুটার অফিসের সামনে জমায়েতের কর্মসূচি। দাবি, যাদবপুরকাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্ত।
21st অক্টোবর- ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক অবস্থা নিয়ে কনভেনশনের ডাক দিয়েছে জুটা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্তরা  ছাড়াও অভিভাবক, শিক্ষাবিদদের যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

ক্ষুব্ধ জুটা এনিয়ে মঙ্গলবারই সরাসরি রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলেছে। জানানো হয়েছে তীব্র ক্ষোভ ।
অন্যদিকে, ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের আন্দোলনের ভবিষ্যত ঠিক করতে এদিন বিভিন্ন ক্লাসে বৈঠক করেন। প্রশ্ন ছিল, বয়কট চলবে? নাকি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অন্য পথে আন্দোলন হবে?

এনিয়ে উঠে এসেছে বিভিন্ন মত। তবে সিংহভাগ ছাত্রছাত্রীই কালীপুজো পর্যন্ত বয়কট চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে  শিক্ষকরা চাইলে তাঁরা ক্লাসরুমের বাইরে পড়তে রাজি বলে জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বুধবার।

 

.