সমন্বয় বৈঠকে মমতা মঞ্চে ডেকে নিলেন সোমেন বিরোধী প্রদীপ ঘোষকে, রাজ্য রাজনীতিতে অন্য সমীকরণের ইঙ্গিত

পুজো ও ইদ উপলক্ষ্যে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিল সমন্বয় বৈঠক। বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের সঙ্গেই হাজির ছিলেন লেবুতলা পুজো কমিটির কর্মকর্তা প্রদীপ ঘোষও। হঠাত্ই অনুষ্ঠান মঞ্চে তাঁকে ডেকে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রদীপবাবুর অন্য পরিচয়, তিনি মধ্য কলকাতার কংগ্রেস প্রেসিডেন্টও। তা হলেকি সোমেনবিরোধী বলেই তাঁকে কাছে টেনে নিয়ে অধুনা বিক্ষুব্ধ সোমেন গোষ্ঠীকে কোনও বার্তা দিতেচাইলেন তৃণমূল সুপ্রিমো?

Updated By: Sep 28, 2013, 10:07 AM IST

পুজো ও ইদ উপলক্ষ্যে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিল সমন্বয় বৈঠক। বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের সঙ্গেই হাজির ছিলেন লেবুতলা পুজো কমিটির কর্মকর্তা প্রদীপ ঘোষও। হঠাত্ই অনুষ্ঠান মঞ্চে তাঁকে ডেকে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রদীপবাবুর অন্য পরিচয়, তিনি মধ্য কলকাতার কংগ্রেস প্রেসিডেন্টও। তা হলেকি সোমেনবিরোধী বলেই তাঁকে কাছে টেনে নিয়ে অধুনা বিক্ষুব্ধ সোমেন গোষ্ঠীকে কোনও বার্তা দিতে চাইলেন তৃণমূল সুপ্রিমো?
শুক্রবার পুজো, ইদের সমন্বয় বৈঠকে এক অভাবনীয় সমন্বয়ের সাক্ষী থাকল রাজ্য। হঠাত্ই অনুষ্ঠান মঞ্চে আবির্ভাব ঘটল নেবুতলা পুজো কমিটির কর্মকর্তা প্রদীপ ঘোষের। মঞ্চে তখন আসীন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই ডেকে নিলেন মধ্য কলকাতা কংগ্রেসের সভাপতিকে। রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের যখন দা-কুড়ুল সম্পর্ক, তখন প্রদীপবাবুকে আচমকা কাছে ডেকে নেওয়ায় প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সোমেনবিরোধী বলে পরিচিত প্রদীপ ঘোষকে মঞ্চে ডেকে নিয়ে আসলে মমতা বার্তা দিতে চাইলেন সোমেনগোষ্ঠীকে। ইতিমধ্যেই দলবিরোধী মন্তব্য করে তৃণমূল নেত্রীর নেকনজরে নেই সোমেন-শিখা। এখন যদি আবার কংগ্রেসে ফিরতে চান সোমেন তা হলে প্রদীপগোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর বিরোধ কাজে লাগাতে চাইবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাতে সোমেন মিত্রের পক্ষে এখনই কংগ্রেসে ফেরাটা খুব একটা সুখকর না-ও হতে পারে। আসলে শত্রুর শত্রু, আমার বন্ধু--এই চাণক্যবাক্যকে তুরুপের তাস ধরে নিয়েই মমতা শুক্রবার মঞ্চে ডেকেছিলেন প্রদীপকে। কিন্তু এই বন্ধুত্ব বা সমন্বয়-কতখানি ধোপে টেকে তা বলবে একমাত্র সময়ই।

.