জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ থেকে সরে এল এনএইচএআই
জমি পেতে সমস্যা, জমির মালিকদের অনড় মনোভাব এবং রাজ্য সরকারের পরোক্ষ অসহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত পঁয়ত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিল ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া।
NH-1956আজ কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে কার্যত এ কথা স্পষ্ট করে দিলেন সংস্থার কলকাতা শাখার প্রজেক্ট ডিরেক্টর অনিল দীক্ষিত। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সড়ক নির্মাণ দফতর থেকে সরকারিভাবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা ঘোষণা করা হবে। ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের দৈর্ঘ্য ৬০ কিলোমিটার। এই পথ উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসত থেকে বনগাঁ সীমান্তের পেট্রাপোল পর্যন্ত গেছে। এই রাস্তা এখন দু-লেনের। কথা ছিল ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ৬১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই রাস্তাকে চার লেনের হাইওয়ে করবে। (একটি দু-লেনের জাতীয় সড়কের কাঙ্খিত প্রস্ত, লেনপিছু সাড়ে ৭ মিটার। এছাড়া মূল রাস্তার দুপাশে আড়াই মিটার করে সার্ভিস করিডর রাখা বাধ্যতামূলক। এই মহূর্তে নামে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক দুলেনের হলেও কোথাও কোথাও এর প্রস্ত সব মিলিয়ে মাত্র সাত বা আট মিটার। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া প্রকল্প থেকে সরে আসায় এবার এই কাজের দায়িত্ব বর্তাবে রাজ্যের পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক শাখার ওপর।
একটি জাতীয় সড়ক নির্মাণ এবং সম্প্রসারণের চারটি পর্যায় রয়েছে। এগুলি হল থ্রি-এ, থ্রি-ডি এবং থ্রি-জি। থ্রি-এ পর্যায়ে সড়ক নির্মাণ ও সম্প্রসারণের জন্য জমি বাছাই করা হয়। এর পরের পর্ব থ্রি-ডি। এই পর্বে সড়ক কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানায়, কোন জায়গায় কতটুকু জমি NH-1956 ধারায় অধিগ্রহণ করা হবে। জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের জন্য নির্দিষ্ট কোন দফতরে কখন যোগাযোগ করতে হবে তার বিস্তারিত বর্ণনা থাকে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। তৃতীয় পর্ব থ্রি- জি। জমির মালিকদের কাছ থেকে প্রাথমিক সম্মতি পাওয়া গেলে, ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত অন্যান্য খাতের আর্থিক প্যাকেজ সহ অন্যান্য বিষয়গুলি নির্ধারিত হয়। সর্বশেষ পর্বে শুরু হয় কাজ। যা শেষ হতে দুরত্বভেদে তিরিশ থেকে পঁয়তাল্লিস মাস সময় লাগে। ৩৫ নম্বর সড়কের ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় এখনও তীব্র বাধায় থ্রি-ডি পর্বই শুরু করা যায়নি।