Shankudeb Panda: হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্য়াগ শঙ্কুদেবের, গুরুত্বই দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপি
দলে ভাঙ্গনের আশহ্কার কথা মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, বিজেপির মধ্যে কোনও ভাঙ্গন নেই। কিছু কিছু মতভেদ হয়তো থাকতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদন: হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপ ছেড়ে রাজ্য বিজেপির রক্তচাপ বাড়ালেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা। যদিও শঙ্কুদেব জানিয়েছেন, ৩৫ বছর পার করা নেতাদের যুব মোর্চায় থাকার কথা নয়। তাই গ্রুপ ত্য়াগ। তবে শঙ্কুর ওই কথায় রাজনৈতিক বিতর্ক থামছে না। তৃণমূলের দাবি, রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। অন্যদিকে, বিজেপির তরফে দাবি, এটা দলের জন্যে কোনও খবর নয়।
সম্প্রতি নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেইসঙ্গে যুব মোর্চার শীর্ষস্তরেও রদবদল করা হয়েছে। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে সরিয়ে যুব মোর্চার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইন্দ্রনীল খাঁকে। এর মধ্য়েই গ্রুপ ছেড়েছেন শঙ্কু। তবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ইন্দ্রনীল খাঁ। প্রসঙ্গত, সৌমিত্র খাঁ, পাঁচ মতুয়া বিধায়ক ও বাঁকুড়ার চার বিধায়কও দলের গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান। এবার শঙ্কু।
শঙ্কুর গ্রুপ ছাড়া নিয়ে ইন্দ্রনীল বলেন, রাজ্য যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তা নিয়েই আমাদের কার্যকর্তারা ব্যস্ত। কে আছে না আছে তা আমরা গ্রুপের দিকে তাকাতে সময় পায়নি। মানুষকে পরিষেবা দেওয়াই এখন আমাদের প্রায়োরিটি। গ্রুপ দেখার সময় হয়নি।
দলে ভাঙ্গনের আশহ্কার কথা মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, বিজেপির মধ্যে কোনও ভাঙ্গন নেই। কিছু কিছু মতভেদ হয়তো থাকতে পারে। যারা কারণ জানিয়েছেন তা দেখে বিষয়টির নিস্পত্তি হবে। শুঙ্কুদেবের ঘোষণাকে এর সঙ্গে এক করা ঠিক হবে না।
শঙ্কুদেবের যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগকে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে না রাজ্য বিজেপি। এনিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কোভিডের সময়ে বিজেপির জন্য এটা খুব এটা খবর হতে পারে না। কেউ দল ছেড়ে চলে গেলে সেটা খবর হতে পারে। এটা সময়ময় কেউ ইচ্ছা করে করে এমন নয়। আমরা মনে হয় এটা কোনও রাজনৈতিক খবর হতে পারে না।
আরও পড়ুন- সোমবার থেকে দেওয়া শুরু 'বুস্টার ডোজ'; কারা পাবেন, জেনে নিন
অন্যদিকে, এনিয়ে সরব তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, বিজেপির মধ্যে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। এটা চলবে। এদের তৃণমূলে নেওয়া হবে কিনা তা পরের বিষয়। তবে এদের পরস্পরের মধ্যে কোনও বিশ্বাস নেই। কোথায় বিজয়বর্গী, কোথায় মেনন? তৃণমূল দরজা খুলে দিলে বিজেপি ফাঁকা হয়ে যাবে।
পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ডা শান্তনু সেনও। তিনি বলেন, তৃণমূলে থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে পিসি বলে সম্বোধন করতেন শঙ্কু। তাঁকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি করা হয়। তাঁর যে রাজনৈতিক স্বীকৃতি বা সম্মান তা সে তৃণমূল কংগ্রেস থেকেই পেয়েছিল। তারপর যে কোনও কারণেই হোক সে দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেয়। পরে বুঝতে পেরেছে এই দলটা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। অচিরেই এই দলটা দেউলিয়া হয়ে যাবে। তাই হয়তো তার শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে।