টাকা না পেয়েই রেগে খুন, কবুল করল পাইকপাড়া কাণ্ডে অভিযুক্ত বাপ্পা

পাইকপাড়া কাণ্ডে খুনের কথা কবুল করল ধৃত বাপ্পা। আজ তার শ্বশুরবাড়ি থেকে নগদ একলক্ষ ৮৭ হাজার টাকা ও সোনার গয়না উদ্ধার করে পুলিস। জেরায় বাপ্পা জানিয়েছে, মেয়ের চিকিতসার জন্য দুহাজার টাকা প্রাণগোবিন্দ দাসের কাছে ছেয়েছিল সে। টাকা দিতে  রাজি না হওয়ায় রাগের মাথায় বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন করে সে। 

Updated By: Jul 18, 2015, 08:44 PM IST
টাকা না পেয়েই রেগে খুন, কবুল করল পাইকপাড়া কাণ্ডে অভিযুক্ত বাপ্পা

ওয়েব ডেস্ক: পাইকপাড়া কাণ্ডে খুনের কথা কবুল করল ধৃত বাপ্পা। আজ তার শ্বশুরবাড়ি থেকে নগদ একলক্ষ ৮৭ হাজার টাকা ও সোনার গয়না উদ্ধার করে পুলিস। জেরায় বাপ্পা জানিয়েছে, মেয়ের চিকিতসার জন্য দুহাজার টাকা প্রাণগোবিন্দ দাসের কাছে ছেয়েছিল সে। টাকা দিতে  রাজি না হওয়ায় রাগের মাথায় বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন করে সে। 

জেরায় বাপ্পা জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যেয় সে বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে আসে। মেয়ের চিকিতসার জন্য প্রাণগোবিন্দ দাসের কাছে দুহাজার টাকা ধার চায়। বৃদ্ধ প্রাণগোবিন্দ বাবু বলেন, 'রোজ রোজ নানা অছিলায় টাকা ধার নিচ্ছিস, কোনও টাকাই শোধ হয়নি, আবার টাকা চাইছিস? মেয়ে মরলে মরুক, আমার পক্ষে এ টাকা দেওয়া সম্ভব নয়'।
বাপ্পা জানিয়েছে, এরপরেই রাগের মাথায় সোফার তলায় রাখা লোহার পাইপ বের করে সে আঘাত করে বৃদ্ধের মাথায়। এরপর রেণুকা দাসের ঘরে ঢুকে তার মাথাতেও পাইপ দিয়ে আঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে রেণুকা দাসের গলা টিপে  খুন করে সে। এরপর আলমারি থেকে  নগদ টাকা ও সোনার গয়না লুঠ করে ফিরে আসে ক্যাম্পবাগানের বাড়িতে। পরদিন ভোরেই বাপ্পা রওনা দেয় নন্দীগ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে। 

গ্রেফতারের পর শুক্রবার রাতেই বাপ্পাকে নিয়ে নন্দীগ্রামের দায়ুদপুর গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে হানা দেয় পুলিস। উদ্ধার হয় নগদ এক লক্ষ সাতাশি হাজার টাকা ও আট থেকে  নয়ভরি সোনার গয়না। পুলিসি জেরায় বাপ্পার স্ত্রী পূর্ণিমাও স্বীকার করেছে, সেও জানত খুনের কথা।

শনিবার শিয়ালদহ আদালতে বাপ্পাকে তোলা হলে আদালত আঠাশে জুলাই পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

.