ভুল শুধরে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে দলে ফেরানো হোক, দাবি সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলনে
সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে দলে ফেরানোর দাবি উঠল। প্রকাশ কারাটের সামনেই তাঁকে দলে ফেরানোর দাবিতে সরব হন উত্তর ২৪ পরগনার এক প্রতিনিধি।
ওয়েব ডেস্ক:সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে দলে ফেরানোর দাবি উঠল। প্রকাশ কারাটের সামনেই তাঁকে দলে ফেরানোর দাবিতে সরব হন উত্তর ২৪ পরগনার এক প্রতিনিধি।
২০০৮ সালে পরমাণু চুক্তি ইস্যুতে প্রথম ইউপিএ সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে বামেরা। তখন লোকসভার স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি । দলের তরফে তাঁকে স্পিকার পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলা হয়। কিন্তু সংসদীয় রীতির যুক্তি টেনে সংসদের তত্কালীন অধিবেশন শেষের আগে তিনি ইস্তফা দিতে চাননি। প্রকাশ কারাটরা অবশ্য তাঁর যুক্তি মানেননি। নিজের অবস্থানে অনড় সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে শেষপর্যন্ত দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা উঠেছে আগেও। তবে প্রকাশ কারাট, সীতারাম ইয়েচুরি থেকে শুরু করে বুদ্ধদেব ভট্টচার্য, বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রদের সামনে তাঁকে ফেরানোর দাবি এই প্রথম। সোমবার রাজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনে আলোচনাপর্বে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্য সোমনাথ ভট্টাচার্য বলেন,বৃহত্তর বাম ঐক্যের কথা বলছে সিপিআইএম। প্রয়োজনে বামপন্থী মনোভাবাপন্নদের কাছে টানার কথাও বলেছেন রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। সোমনাথ ভট্টাচার্যের যুক্তি, দল সত্যিই একাজ করতে চাইলে সবার আগে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে ফিরিয়ে আনা উচিত।
দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরেও কংগ্রস, তৃণমূল, বিজেপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মঞ্চে সরব হয়েছেন প্রবীন এই কমিউনিস্ট নেতা। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম প্রার্থীদের হয়ে প্রচারও করেন তিনি।
দলের নিচুতলার নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, সোমনাথবাবুকে ফিরিয়ে আনলে রাজ্যবাসীকে নতুন বার্তা দেওয়া যাবে। শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতারও মত, বহিষ্কারের পরেও দলকে কখনও অস্বস্তিতে ফেলেননি সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। বরং কঠিন সময়ে সর্বোতভাবে দলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তাই দলের সদস্যপদ তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া যেতেই পারে।