হরিদেবপুরে পুলিসের তোলাবাজি, হুমকি-`বাড়ি বানাচ্ছেন, তাহলে আমাদের টাকা দিতে হবে`

থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তিন নির্মাণকর্মীকে। খবর পেয়েই থানায় ছুটে গিয়েছিলেন তপন গুহ রায়ের স্ত্রী। সেখানে গিয়েও ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন তিনি। জোটে বিদ্রুপ আর হুমকি। টাকা না দিলে ফল ভুগতে হবে। থানায় গিয়ে পুলিসের কাছ থেকে এই হুমকি পেয়েছিলেন তপন গুহরায়ের স্ত্রী। ফোনেও সেকথা বার বার বলা হয়েছে তপনবাবুকে।

Updated By: Dec 10, 2013, 01:07 PM IST

থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তিন নির্মাণকর্মীকে। খবর পেয়েই থানায় ছুটে গিয়েছিলেন তপন গুহ রায়ের স্ত্রী। সেখানে গিয়েও ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন তিনি। জোটে বিদ্রুপ আর হুমকি। টাকা না দিলে ফল ভুগতে হবে। থানায় গিয়ে পুলিসের কাছ থেকে এই হুমকি পেয়েছিলেন তপন গুহরায়ের স্ত্রী। ফোনেও সেকথা বার বার বলা হয়েছে তপনবাবুকে।

শুধু ফোন করে হুমকিই নয়। টাকা না পেয়ে বাড়িতে এসে তিন নির্মান কর্মীকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল পুলিস। তাদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ হরিদেবপুর থানার বিরুদ্ধে। থানায় গিয়ে তাই কোনও সুবিচারও মেলেনি। শেষপর্যন্ত শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন তপন গুহরায়। মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নড়েচড়ে বসে পুলিসও। থানার বিরুদ্ধে ওঠা তোলাবাজির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আলাদা করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়রও।

বাড়ি বানাচ্ছেন? সামান্য একটা ইট গাঁথলেও কিন্তু টাকা দিতে হবে পুলিসের হাতে। না হলে তোলা আদায়ে আসবে একের পর এক হুমকি ফোন। এলাকার কোনও কুখ্যাত দুষ্কৃতী নয়, তোলাবাজির এই অভিযোগ হরিদেবপুর থানার বিরুদ্ধেই। কিছুদিন আগেই এই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন পেশায় ব্যবসায়ী তপন গুহ রায়। পুলিস তোলাবাজি চালাচ্ছে, এ অভিযোগের সত্যতা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর স্বপ্ন শূর। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গোটা বিষয়টা দেখছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

.