সিআইডি সেজে টাকা আদায় খোদ পুলিসের
ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে ধরা পড়ে গেলেন তিন পুলিস কর্মী। সিআইডি আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বড়বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা আদায় করেন ওই পুলিস কর্মীরা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিন পুলিস কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়। এদের মধ্যে জয়নাল আবেদিন দীর্ঘদিন কলকাতা পুরসভায় মেয়রের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে ধরা পড়ে গেলেন তিন পুলিস কর্মী। সিআইডি আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বড়বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা আদায় করেন ওই পুলিস কর্মীরা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিন পুলিস কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়। এদের মধ্যে জয়নাল আবেদিন দীর্ঘদিন কলকাতা পুরসভায় মেয়রের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
রবীন্দ্র সরণীতে মানি ট্রান্সফারের ব্যবসা ছিল রাজস্থানের বাসিন্দা সত্যনারায়ণ শর্মার। ২৫ জুলাই তাঁর দোকানে হানা দেয় ৬ জনের একটি দল। সিআইডি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তাঁরা জানান সত্যনারায়ণবাবুর ব্যবসা বেআইনি। ঘটনা চেপে যাওয়ার জন্য ৬ লক্ষ টাকা দাবি করেন তাঁরা। ভয় পেয়ে টাকা তাঁদের হাতে তুলে দেন ওই ব্যবসায়ী। ২৫ জুলাই রাতেই বড়বাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সত্যনারায়ণ শর্মা। তদন্ত শুরু করে পুলিস। অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে চিহ্নিত করা হয় তিন পুলিসকর্মীকে। এঁরা হলেন, কলকাতা পুলিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার জয়নাল আবেদিন ও হাসিদুল রহমান। রাজ্য পুলিসের ষষ্ঠ ব্যাটেলিয়নের কর্মী ওয়াজেদ মোমিনও ছিলেন দলে।
রবিবার তিনজনকেই গ্রেফতার করে পুলিস। খোদ পুলিস কর্মী তোলা আদায়ে যুক্ত থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ব্যবসায়ী মহলে। হাতিয়ে নেওয়া ৬ লক্ষ টাকার বেশিরভাগটাই উদ্ধার করেছে পুলিস। সোমবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হবে।