রাজনৈতিক পথে চিটফাণ্ডকাণ্ডের জবাব দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী, সিবিআই তদন্তের দাবি জোরাল করছে বিরোধীরা

রাজ্যে চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির জন্য ফের বাম সরকারকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দক্ষিণ দিনাজপুরে কুশমুন্ডিতে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি সভায় নয়, চিটফান্ড নিয়ে  চাঁছাছোলা ভাষায়  সব প্রশ্নের জবাব দেবেন তিনি রাজনৈতিক সভায়।

Updated By: Nov 27, 2013, 09:17 PM IST

রাজ্যে চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির জন্য ফের বাম সরকারকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দক্ষিণ দিনাজপুরে কুশমুন্ডিতে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি সভায় নয়, চিটফান্ড নিয়ে  চাঁছাছোলা ভাষায়  সব প্রশ্নের জবাব দেবেন তিনি রাজনৈতিক সভায়।

তবে গতকাল ২৪ ঘণ্টায় সারদার `গোপন কথা`, কুণাল ঘোষের বিস্ফোরক মন্তব্য সামনে আসার পর, রাজনৈতিক মহল কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছে। তৃণমূলের বিতাড়িত সাংসদ যেভাবে একে একে তৃণমূল নেতাদের নাম ও খোফ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন, তা নিয়ে শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধী দলগুলি।

নিজের দলের লোকেদের বাঁচাতেই সারদাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কুণাল ঘোষের বিস্ফোরক ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর এই মন্তব্য করলেন সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম। কুণালের মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কত তোলা আদায় করবে তৃণমূল, তারও মধ্যস্থতা করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সারদাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করল কংগ্রেস। তদন্তের আর্জি জানিয়ে কংগ্রেস রাজ্যপালের কাছে দরবার করবে। কুণাল ঘোষের বিস্ফোরক  ভিডিও ফুটেজ সামনে আসার পর জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। একই দাবি জানানো হবে কেন্দ্রীয়  সরকারের কাছেও।  

কুণাল ঘোষের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই সিবিআই তদন্তের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সির মন্তব্য, সততার প্রতীক যখন প্রশ্নের মুখে, তখন সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত ছাড়া অন্য রাস্তা নেই।

সারদাকাণ্ডে কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। কিন্তু কুণাল ঘোষ আর যেসব তৃণমূল নেতাদের নাম করেছেন, তাদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। প্রশ্ন তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, সিবিআই তদন্ত ছাড়া আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে না।

শুধু সারদাগোষ্ঠী নয়, রাজ্যে এমন বহু চিটফান্ড সংস্থা থেকেই টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা-নেত্রীরা। কুণাল ঘোষ সত্যি বলে ফেলাতেই তড়িঘড়ি তাঁকে জেলে পুরে দেওয়া হল। টেলিফোনে ২৪ ঘণ্টাকে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী।  

কুণাল ঘোষের যে ভিডিও রেকর্ডিং প্রকাশ হয়েছে, তা দেখার পর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উপযুক্ত বিহিত করা উচিত বলে মন্তব্য করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। আদালতের তত্ত্বাবাধানে সারদাকাণ্ডের সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি।  

.