পোস্টাল ভোটে রাজ্যে ২৫টি আসনে জয়ী বামেরা
লোকসভা ভোট শেষ। রাজ্যে তৃণমূলের প্রাপ্ত আসন চৌত্রিশটি। তবুও চিন্তার ভাঁজ তৃণমূল নেতাদের মাথায়। কারণ রাজ্যে চৌত্রিশটি আসন পেলেও শাসকদলের ওপর আস্থা হারিয়েছেন খোদ সরকারি কর্মীরাই। পোস্টাল ব্যালটের ফলাফল অনুযায়ী পঁচিশটি আসনে জয়ী হয়েছে বামেরা। তৃণমূল পেয়েছে চোদ্দটি আসন, বিজেপি দুটি এবং কংগ্রেস পেয়েছে একটি আসন।
লোকসভা ভোট শেষ। রাজ্যে তৃণমূলের প্রাপ্ত আসন চৌত্রিশটি। তবুও চিন্তার ভাঁজ তৃণমূল নেতাদের মাথায়। কারণ রাজ্যে চৌত্রিশটি আসন পেলেও শাসকদলের ওপর আস্থা হারিয়েছেন খোদ সরকারি কর্মীরাই। পোস্টাল ব্যালটের ফলাফল অনুযায়ী পঁচিশটি আসনে জয়ী হয়েছে বামেরা। তৃণমূল পেয়েছে চোদ্দটি আসন, বিজেপি দুটি এবং কংগ্রেস পেয়েছে একটি আসন।
রাজ্যে চৌত্রিশটি আসন পেয়ে বাজিমাত করলেও শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে খোদ অন্দরমহল থেকেই। লোকসভা নির্বাচন শেষে পোস্টাল ব্যালটে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের ওপর আস্থা হারিয়েছেন খোদ সরকারি কর্মীরাই। পঁচিশটি আসনে জয় লাভ স্পষ্ট করে দিয়েছে সরকারি কর্মীদের ভরসা রয়েছে সেই বামেদের ওপরেই। ভোট পরিচালনার কাজে যুক্ত ছিলেন যেসব সরকারি কর্মী, তাঁদের একটা বড় অংশই ভোট দিয়েছেন বামেদের পক্ষে।
দমদম লোকসভা কেন্দ্রে প্রাক্তনঅর্থমন্ত্রীর প্রাপ্ত ভোট ১৬৬৯। ওই কেন্দ্রে তৃণমূল পেয়েছে ৯৬৬টি ভোট।
রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সিকে অনেকটাই পেছনে ফেলে দিয়েছেন সিপিআইএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। সেলিমের প্রাপ্ত ভোট ৬৫২। দীপা পেয়েছেন ৩৭৫ টি ভোট।
তবে চমকে দেওয়ার মতো ফল হয়েছে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে। তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী সুগত বসুর ওপর ভরসা না করে বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীকেই বেছে নিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯৯১। সুগত বসু পেয়েছেন ৭৫৪ টি ভোট।
শ্রীরামপুরে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জির প্রাপ্ত ভোট ৪১৫টি। বামেদের প্রাপ্ত ভোট ৬৩৩ টি।
ডায়মন্ডহারবারে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝুলিতে পড়েছে ৭৫৪ টি ভোট। বাম প্রার্থী পেয়েছেন ৯৯১ টি ভোট।
মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কেন্দ্র কলকাতা দক্ষিণেও দলের মুখ রক্ষা হয়নি। তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত বক্সিকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন বাম প্রার্থী নন্দিনী মুখার্জি। সুব্রত বক্সি পেয়েছেন ৫৯৬টি ভোট। নন্দিনী মুখার্জি পেয়েছেন ৭০৮ টি ভোট।
আসন রক্ষা হয়নি ঘাটালেও। ওই কেন্দ্রের সুপারস্টার প্রার্থী দেবকে পেছনে ফেলেছেন বাম প্রার্থী। খোকাবাবুর ঝুলিতে পড়েছে ৫৭৪ টি ভোট। বাম প্রার্থী পেয়েছেন ৬২২ টি ভোট।
অন্যান্য কেন্দ্রগুলির মধ্যে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মালদা উত্তর এবং মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ, বনগাঁ, বারাকপুর, দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, হাওড়া, কলকাতা উত্তর, আরামবাগ, বাঁকুড়া, বর্ধমান পূর্ব.. সবকটি কেন্দ্রেই এগিয়ে বামেরা।
বকেয়া বিয়াল্লিশ শতাংশ মহার্ঘ ভাতাই সরকারি কর্মীদের মুখ ফেরানোর একটা বড় কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনীতিবিদদের মতে, সরকারি কর্মীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয়েছে বর্তমান সরকার। গত তিন বছরে সরকারের পারফরম্যান্স যে সরকারি কর্মচারীদের আদৌ খুশি করতে পারেনি তারই প্রমান এবার পোস্টাল ব্যালটের ফলাফলে।