প্রণবের ফোন, ফের দলের নিশানায় কবীর সুমন
মঙ্গলবারই তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমন ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছিলেন, দলীয় বিরোধিতা সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতি পদে প্রণব মুখার্জিকেই সমর্থন করবেন তিনি। তাঁর এই বক্তব্যের পরই বুধবার কবীর সুমনকে ফোন করেন প্রণব মুখার্জি। এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে তৃণমূলের তরফ থেকে।
মঙ্গলবারই তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমন ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছিলেন, দলীয় বিরোধিতা সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতি পদে প্রণব মুখার্জিকেই সমর্থন করবেন তিনি। তাঁর এই বক্তব্যের পরই বুধবার কবীর সুমনকে ফোন করেন প্রণব মুখার্জি। এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে তৃণমূলের তরফ থেকে।
প্রণব মুখার্জি ও কবীর সুমন দু`জনেরই সমালোচনা করে এদিন সুব্রত মুখার্জি বলেন, "কবীর সুমন অনৈতিক কাজ করেই চলেছেন। নানা কারণে তাঁর বিরুদ্ধে অনেক শক্ত পদক্ষেপ আমরা নিইনি। উনি যদি মনে করতেন তৃণমূল কংগ্রেস খুব খারাপ, তাহলে সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়াই ওনার পক্ষে নীতিগত দিক দিয়ে সবথেকে উচিত্ কাজ হত। যা অতীতে বহু মানুষ করেছেন। প্রণববাবুর এভাবে ফোন করাও নজিরবিহীন ঘটনা। উনি চাইলে দলের সর্বোচ্চ পদাধিকারীর কাছে আবেদন জানাতে পারতেন। সেটা অনৈতিক নয়। কিন্তু দলের মধ্যে থাকা কোন দ্বিমত পোষণকারী সাংসদকে ফোন করে উসকানি দেওয়া কুরুচিকর।"
সুব্রত মুখার্জির মতো একই মত প্রকাশ করেছেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। প্রণববাবু সম্পর্কে ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে তিনি জানান, কোন দলকে যদি আবেদন জানাতে হয়, তাহলে সেই দলের প্রধানের কাছে আবেদন জানাতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে অনুরোধ করা একেবারেই অভিপ্রেত নয়। এটা অগণতান্ত্রিক ও নীতিবিরোধী। অন্যদিকে কবীর সুমন সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, কেউ যখন দলের টিকিটে জিতে সাংসদ হন, তখন তাঁর দলের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা উচিত্। সেটা না করা পাপ। জেতার পর হঠাত্ করে কবীর সুমনের একজন ব্যক্তিবিশেষ হয়ে ওঠা কখনই কাঙ্খিত নয় বলেই মনে করেন তিনি। কবীর সুমনের আচরণের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, "ক্ষমতা থাকলে ইস্তফা দিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে জিতে আসুন। দলের প্রতি দায়বদ্ধ না থাকলে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা যায় না।"