Primary Teacher Recruitment: ধর্মতলা থেকে অবস্থান প্রত্যাহার প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থীদের!
হাইকোর্টের অনুমতিতে মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলন থেকে এবার সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা।
রণয় তিওয়ারি: 'চাকরি আশ্বাস দিয়েছে সরকারপক্ষ'। ধর্মতলা থেকে এবার অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০০৯ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করেছিলেন তাঁরা। ৩৭ দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চলছিল গান্ধীমূর্তির পাদদেশে।
টেট তখনও চালু হয়নি। এ রাজ্যে ক্ষমতায় বামেরা। ২০০৯ সালে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এরপর যথারীতি নিয়োগের পরীক্ষাও হয় ২০১০ সালের জুলাই মাসে। কিন্তু ততদিনে ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ঢাকি কাঠি পড়েছে গিয়েছে! চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ১৪ জেলায় নিয়োগ হলেও বঞ্চিত থেকে যায় ৫ জেলা। দুই ২৪ পরগনা, মালদহ, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবাদল ঘটে। প্রাথমিকে যে পাঁচ জেলায় নিয়োগ বাকি ছিল, সেই পাঁচ জেলায় ফের পরীক্ষা হয় তৃণমূল জমানায়। এমনকী, চাকরিও পেয়ে যান উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, মালদহ ও পূর্ব মেদিনীপুরের পরীক্ষার্থীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা কেন বাদ পড়ল? চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পর্ষদকে বারবার জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি।
এবছর পুজোর সময়ে ধর্মতলায় শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান বিক্ষোভে বসার সিদ্ধান্ত নেন চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিসের অনুমতি না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। পুজোর মধ্যেও চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তায় বসে বিক্ষোভে অনুমতি দেয় আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, 'যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় বসে চাকরি ভিক্ষা করবে, আর পুজো আছে বলে পুলিস তাদের আন্দোলন করতে দেবে না। এটা হয় না। এটা যুক্তিগ্রাহ্য নয়'। ৩৭ দিনের মাথায় এবার আন্দোলনে ইতি টানলেন চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: ১১ ডিসেম্বরের টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য বড় ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের
কেন? ধর্মতলা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে যাঁরা অবস্থান করছিলেন, তাঁরা জানিয়েছেন, 'কুণালবাবুর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে রায় দেওয়ার দিন ধার্য হয়েছে। সরকার ও আদালতের তরফে নিয়োগ নিয়ে আমরা সবুজ সংকেত পেতে চলেছি'। এর আগে, প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর করুনাময়ীতে পর্ষদের অফিসের সামনে অনশনে বসেছিলেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্থরা। শেষপর্যন্ত মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিস।