জুয়ার ঠেক, মাদক ব্যবসার প্রতিবাদে খুন প্রতিবাদী
শহরে খুন প্রতিবাদী। খুন করা হল বাঁশ, রড দিয়ে পিটিয়ে, সিমেন্টের চাঁই দিয়ে মেরে। ঘটনাস্থল মেটিয়াবুরুজ। এলাকায় জুয়ার ঠেক, মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করেন নজরুল ইসলাম। পরিবারের অভিযোগ, একারণেই দুষ্কৃতীদের টার্গেট হয়ে যান তিনি। অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেফতার এক জন। এখনও ফেরার তিন।
ওয়েব ডেস্ক: শহরে খুন প্রতিবাদী। খুন করা হল বাঁশ, রড দিয়ে পিটিয়ে, সিমেন্টের চাঁই দিয়ে মেরে। ঘটনাস্থল মেটিয়াবুরুজ। এলাকায় জুয়ার ঠেক, মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করেন নজরুল ইসলাম। পরিবারের অভিযোগ, একারণেই দুষ্কৃতীদের টার্গেট হয়ে যান তিনি। অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেফতার এক জন। এখনও ফেরার তিন।
ফের প্রতিবাদীর রক্ত ঝরল। প্রাণ গেল দুষ্কৃতীদের হাতে। নৃশংস হত্যা। খাস কলকাতার বুকে। বরাবর ডাকাবুকো হিসেবে এলাকায় পরিচিতি নজরুল ইসলামের। বাড়ি মেটিয়াবুরুজের লিচুবাগানে। এলাকায় বসত জুয়ার ঠেক। মাদক জালে জড়ানো হচ্ছিল শিশুদের। এসবেরই প্রতিবাদ করতেন নজরুল। জুয়ার ঠেকের খবর পুলিসকে দিয়ে দেওয়া বা রাজনৈতিক নেতাদের কাছে এনিয়ে বহুবার অভিযোগ জানান নজরুল ইসলাম। এলাকার শিশুদের মধ্যে মাদক সরবরাহ রুখতেও সচেষ্ট ছিলেন তিনি। এসব কারণে আগে থেকেই দুষ্কৃতীদের আক্রোশ ছিল নজরুলের ওপর। তার ওপর যোগ হয়, শুক্রবার রাতের বচসা।
এলাকায় বিদ্যুত্ চুরি নিয়ে সম্প্রতি অ্যাকশন নেয় সিইএসসি। লাইন কেটে দেওয়া হয় নাসিম নামে এক ব্যক্তির। নাসিম এলাকায় সমাজবিরোধী হিসেবে পরিচিত। নানা অপরাধমূলক কাজকর্মে যুক্ত। দুষ্কৃতীরা ধরে নেয়, বিদ্যুতের লাইন কাটা গিয়েছে নজরুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতেই। শুক্রবার রাতে তাকে হঠাত্ একা পেয়ে হামলে পড়ে চার দুষ্কৃতী। বাঁশ, রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় নজরুলকে। এরপর সিমেন্টের চাঁই ছুড়ে মারা হয় তার মাথা লক্ষ্য করে। রক্তাক্ত নজরুল ইসলামকে রাস্তায় ফেলেই পালায় হামলাকারীরা।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, হাসপাতালে নেওয়ার পথেই হামলাকারী চার জন, আলম, আহমেদ, নাসিম ও ইকবালের নাম বলে দেন নজরুল। তবে পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতালে পৌছলে নজরুলকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। ঘটনায় থমথমে লিচুবাগান। স্থানীয়দের প্রশ্ন, প্রতিবাদের মাসুল আর কতদিন দিতে হবে প্রাণ খুইয়ে?