রবীন্দ্রভারতীর ছাত্র সংসদের সব পদে শ্লীলতাহানির অভিযুক্তরা
ছাত্রীর শ্লীলতাহানিতে মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিত দে রবীন্দ্রভারতীর ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক আগেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারে দেখা গেল ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট সহ বাকি পদগুলিতেও জায়গা পেয়েছে অভিযুক্ত ছাত্রছাত্রীরাই।
ছাত্রীর শ্লীলতাহানিতে মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিত দে রবীন্দ্রভারতীর ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক আগেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারে দেখা গেল ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট সহ বাকি পদগুলিতেও জায়গা পেয়েছে অভিযুক্ত ছাত্রছাত্রীরাই।
কেউ অভিযুক্ত ছাত্রীর শ্লীলতাহানিতে। অনেকের বিরুদ্ধে আবার অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক অধ্যাপককে হেনস্থা করার। এমনই সব অভিযুক্ত ছাত্রছাত্রীরাই জায়গা পেল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদে। ওই শ্লীলতাহানিতে মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিত্ দে ওরফে বাপ্পাকে যে সাধারণ সম্পাদক করা হচ্ছে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা।
শুক্রবার সংসদ গঠনের পর দেখা গেল প্রেসিডেন্টও হয়েছেন শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত আরেক ছাত্র সিমিয়ন সোরেন। কালচারাল সেক্রেটারি, এজিএস, সহ শ্লীলতাহানির ছয় অভিযুক্তই জায়গা পেয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৈরি হওয়া ওই ছাত্র সংসদে।
এই ছজন হলেন,
বিশ্বজিত দে -সাধারণ সম্পাদক
শঙ্খ তালুকদার -কালচারাল সেক্রেটারি।
কানু মণ্ডল-এজিএস
মৌলি ব্যানার্জি- ম্যাগাজিন সেক্রেটারি
শ্রীজিত শীল-লাইব্রেরি সেক্রেটারি।
শুধু শ্লীলতাহানির অভিযোগই নয়, টোকাটুকির প্রতিবাদ করায় কিছুদিন আগে একদল ছাত্রের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক অধ্যাপক। অভিযোগ দায়ের হয়েছিল কাশীপুর থানায়। সেই ঘটনাতেও অভিযুক্ত এই ছয় জন ছাত্রছাত্রী। তৃণমূল ছাত্রপরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডার অবশ্য দাবি, গণতান্ত্রিকভাবে বেশি ভোট পেয়েই সংসদের দায়িত্ব পেয়েছেন ওই ছাত্রছাত্রীরা।