রাজ্যপালকে অপসারণের দাবি রাজ্যসভায়, সাবস্টেনসিভ মোশন আনল TMC
সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবুজ সঙ্কেত দেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যপালের অপসারনের দাবিতে রাজ্যসভায় সাবস্টেনসিভ মোশন আনল তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এই প্রস্তাব আনেন।
সুখেন্দুশেখর রায় তার চিঠিতে জানিয়েছেন বর্তমান রাজ্যপাল যেভাবে রাজ্যের দৈন্যন্দিন কাজে হস্তক্ষেপ করছেন এবং পলিসি নিয়ে যেভাবে তিনি সর্বসমক্ষে সরব হয়েছেন তার ফলে গোটা ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করছেন তিনি। এই কারনেই এই মোশন আনা হয়েছে। এই চিঠিতেই রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে। সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবুজ সঙ্কেত দেওয়ায় শুক্রবার এই প্রস্তাব আনলেন সুখেন্দুশেখর রায়।
আরও পড়ুন: Madan Mitra: বার বার বিতর্কিত মন্তব্য, মদন মিত্রের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে তৃণমূল
তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে লোকসভায় তৃণমূলের তরফে দেশের প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে জানানো হয় কীভাবে রাজ্যপাল প্রতিনিয়ত নির্বাচিত রাজ্য সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন, কীভাবে তিনি রাজ্য সরকারকে সর্বসমক্ষে হেনস্থা করছেন এবং প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করছেন। তিনি আরও বলেন যে রাজ্য সরকারের নামে সংবাদমাধ্যমে কুৎসা ছরাচ্ছেন তিনি। তৃণমূলের দাবি রাজ্যপালের পদে থেকে তিনি দলীয় ব্যক্তির মত কাজ করছেন। চিঠি দেওয়ার পরে ১৪ মাস অপেক্ষা করেছে তৃণমূল কিন্তু এর মাঝে কোনও রকম পদক্ষেপ কোথাও নেওয়া হয়নি। এরফলেই রাজ্যসভার ১৭০ নম্বর বিধি অনুযায়ী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তারা স্বতন্ত্র প্রস্তাব এনেছেন, যেখানে রাজ্যপালের কার্যকলাপে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁকে অপসারনের দাবি জানানো হয়েছে।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে তৃণমূলের কাছে এরকম আচরণ খুবই স্বাভাবিক এবং তৃণমূলের আচরণ কোনওভাবেই ভারতীয় সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ন নয়। তিনি আরও বলেন যে তৃণমূল নিজেকে সংবিধানের উপরে এবং পশ্চিমবঙ্গকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বলে মনে করে।