ন্যাশনাল লাইব্রেরির রিডিংরুমে ভিজে যাচ্ছে বই

বর্ষার জল আর এসির জল। দুইয়ে মিলে একেবারে থইথই অবস্থা ন্যাশনাল লাইব্রেরির রিডিংরুমে। ভিজে গেছে বই। ভিজে সপসপ করছে গুরুত্বপূর্ণ নথি। পরিস্থিতির জন্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা CPWD কে দুষছেন কর্মীরা। অভিযোগ শুনেও চুপ CPWD। 

Updated By: Jul 12, 2016, 09:31 PM IST
ন্যাশনাল লাইব্রেরির রিডিংরুমে ভিজে যাচ্ছে বই

ওয়েব ডেস্ক: বর্ষার জল আর এসির জল। দুইয়ে মিলে একেবারে থইথই অবস্থা ন্যাশনাল লাইব্রেরির রিডিংরুমে। ভিজে গেছে বই। ভিজে সপসপ করছে গুরুত্বপূর্ণ নথি। পরিস্থিতির জন্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা CPWD কে দুষছেন কর্মীরা। অভিযোগ শুনেও চুপ CPWD। 

বর্ষার শুরুতেই নাকাল ন্যাশনাল লাইব্রেরির ভাষা ভবন। ভাষা বিভাগের গোটা বেসমেন্ট জুড়ে শুধু জল আর জল। কর্মীরা ওয়াইপার নিয়ে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটছেন। ভাষা বিভাগের ভিতর থেকে এভাবেই বের করা হচ্ছে জল। মূল ভবন অনেকদিনই সংরক্ষিত। পঠনপাঠনের কাজ চলে ভাষা ভবনে। নতুন বিল্ডিংয়ে এই অবস্থা কেন? 

জলে ভিজে গেছে বই ও গুরুত্বপূর্ণ নথি। সেগুলিকে এভাবেই ট্রেতে আলাদা করে রাখা হয়েছে। ঐতিহ্যের ন্যাশনাল লাইব্রেরির এমন ছবি বই অনুরাগীদের কাছে যথেষ্ঠ বেদনার। কর্মীরা কিন্তু বলছেন, সমস্যাটা পুরনো। একদিকে দেওয়াল চুঁইয়ে আসা বৃষ্টির জল। বিপদ আরও বাড়িয়েছে ভাষা বিভাগের পাশে থাকা এসি ইউনিট। সেখান থেকে লাগাতার জল লিক করে তা ছড়িয়ে পড়ছে প্রসেসিং সেকশন, ল্যাঙ্গোয়েজ সেকশন ও স্ট্যাকে।

কম্পিউটারের ল্যান কানেকশনও জলে ডুবে। ফলে তড়িত্‍স্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও যথেষ্ঠ। কর্মীদের দাবি, ন্যাশনাল লাইব্রেরির এই সব সমস্যার কথা জানিয়ে CPWD কে চিঠি দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু CPWD তাতে গুরুত্ব দেয়নি। 

ন্যাশনাল লাইব্রেরি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা CPWD কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তাঁরা কিছু বলতে চাননি। 

.