রাজ্য মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য বন্ধ থাকবে রেড রোড
প্রায় ছ-দশক পর রাজভবনের বাইরে রাজ্য মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। রেড রোডে জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। শপথের জন্য গতকাল রাত ১২টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেড রোড। সোনিয়া গান্ধী, নরেন্দ্র মোদীর কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসতে না পারলেও উপস্থিত থাকবেন তাঁর প্রতিনিধি।
ওয়েব ডেস্ক: প্রায় ছ-দশক পর রাজভবনের বাইরে রাজ্য মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। রেড রোডে জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। শপথের জন্য গতকাল রাত ১২টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেড রোড। সোনিয়া গান্ধী, নরেন্দ্র মোদীর কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসতে না পারলেও উপস্থিত থাকবেন তাঁর প্রতিনিধি।
প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথা মেনে রাজভবনে শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর ইচ্ছে রেড রোডে রাজ্য মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। ২৭ মে বেলা ১২টায় রেড রোডে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একই দিনে শপথ নেবেন রাজ্য মন্ত্রিসভার ৪৪ জন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ২০ হাজার সাধারণ মানুষের বসার ব্যবস্থা থাকছে। থাকবেন ১ হাজার ভিভিআইপি এবং ৫ হাজার ভিআইপি। ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদী ও সোনিয়া গান্ধীর কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর কাছেও যাচ্ছে আমন্ত্রণপত্র। রাজ্য মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য বন্ধ থাকছে রেড রোড। সোমবার রাত ১২টা থেকে রেড রোডে যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শপথ গ্রহণের পর মঞ্চের কাঠামো সরানোর পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ থাকবে। ২৯ মে সকাল ৬টায় পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাস্তা বন্ধ থাকার সম্ভাবনা।
আরআর অ্যাভিনিউ থেকে দক্ষিণগামী গাড়ি মেয়ো রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। খিদিরপুর থেকে উত্তরগামী ট্রাফিক ঘুরিয়ে দেওয়া হবে আউট্রাম রোড দিয়ে। এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভার দিয়ে যে গাড়ি আসবে তা জওহরলাল নেহরু রোড, পার্কস্ট্রিট দিয়ে ধর্মতলায় দিকে পাঠানো হবে। আবহাওয়া ভাল থাকলে মঙ্গলবার রেড রোডের একটি লেনে পরীক্ষামূলকভাবে যান চলাচলের অনুমতি দিতে পারে পুলিস।
১৯৫৭ সালে বিধানচন্দ্র রায় দার্জিলিঙে শপথ নিয়েছিলেন। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম রাজভবনের চৌহদ্দির বাইরে শপথ নেবেন। ২৫ মে রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন তিনি। তারপর শপথ নেওয়ার আগে পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজভবন থেকে হেঁটে মহাকরণে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, শপথের পর গাড়িতেই নবান্নে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।