Adhir-র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, প্রদেশ কংগ্রেসের পদ থেকে ইস্তফা সোমেন-পুত্রের
'একজন কংগ্রেস কর্মী হিসেবে দলের কাজ করে যাব'।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভা নির্বাচনের ভরাডুবি। দলে 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব' নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছিলেন। নিজের বক্তব্য জানিয়েছিলেন এআইসিসি নেতৃত্বকে। অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে শেষপর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সোমেন-পুত্র রোহন মিত্র। চিঠিতে লিখলেন, 'আপনার ইগো দলের এই বিপর্যয় ডেকে এনেছে'।
প্রদেশ কংগ্রেসে সভাপতি থাকাকালীন প্রয়াত হন সোমেন মিত্র। ছেলে রোহনের সঙ্গে কিন্তু দলের রাজ্য নেতৃত্বের সম্পর্ক মসূণ ছিল না একেবারেই। দিন কয়েক আগেই অভিযোগ করেছিলেন, বিধানসভা ভোটে ভরাডুরি পরেও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বৃত্তের থেকে বেরোতে পারছে না। টুইট নাম না করে নিশানা করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে। লিখেছিলেন, 'প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা নেই। যদিও সেপ্টেম্বর মাস থেকে তিনি আমার সঙ্গে কোনওরকম কথাবার্তা বলেননি। তা সত্ত্বেও আমি তাঁর সভাপতির আসনকে আমি সম্মান করি। কিন্তু প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা যা করছেন, তা ন্যক্কারজনক'।
আরও পড়ুন: বাম-কংগ্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে সাড়া, শ্রম আইনে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের পথে রাজ্য
বিধানসভা ভোটের আগে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে আইএসএফ ও সঙ্গে সংঘাত তৈরি হয়েছিল কংগ্রেসের। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, আব্বাস সিদ্দিকী ব্রিগে়ড মঞ্চে উঠতেই ভাষণ অসমাপ্ত রেখে পোডিয়াম ছাড়তে উদ্যত হন অধীর। তখন কোনওরকমে তাঁকে নিরস্ত্র করে বিমান-সেলিমরা। তাঁর ভাষণে আবার নাম না করে কংগ্রেসে বিঁধেছিলেন আব্বাস সিদ্দিকীও। ভোট পর্যালোচনায় সিপিএমের খসড় রিপোর্ট স্পষ্ট উল্লেখ, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের পরস্পরবিরোধী মন্তব্য বিভ্রান্তি তৈরি করেছে জনমানসে। অধীরের সাফ কথা, 'সিপিএমের বিবৃতিতে কী রয়েছে তা জানি না। আমাদের কাছে তা নেই। আমরা ভোটের আগে ঘোষণা করে দিয়েছিলাম যে আইএসএফের সঙ্গে জোট হয়নি। ভোটের পর বা হারার পর এটা বলছি না। ভোটের আগেই ঘোষণা করেছিলাম'।
আরও পড়ুন: বিদেশে পালানো বিনয় মিশ্রের কাছে পাঠানো হচ্ছে টাকা! বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে
নিজের ইস্তফাপত্রে সেই প্রসঙ্গ তুলেছেন সোমেন-পুত্র। অধীরকে উদ্দেশ্য় করে লিখেছেন, 'আপনিও ফুরফুরা শরীফে গিয়ে আব্বাসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ব্রিগেডে অপমানের পরেও জোট বজায় রেখেছিলেন। এখন অস্বীকার করছেন। আপনার ইগো দলের এই বিপর্যয় ডেকে এনেছে'। শুধু তাই নয়, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় কীভাবে তাঁকে অপমান করা হয়েছিল, সেকথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন রোহন।
তাহলে কি কংগ্রেসও ছাড়লেন? এদিন রোহন মিত্র জানান, 'আমি সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছি। কিন্তু দল ছাড়িনি। একজন কংগ্রেস কর্মী হিসেবে দলের কাজ করে যাব। ভোটে হেরে যাওয়ার পর অধীরবাবু যে বৈঠক ডেকেছিলেন, তাতে আমি যাইনি। আগামী দিনেও যে তাঁর ডাকা কোনও বৈঠকে যাব না, তা চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছি।'
(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)