নোড়া দিয়ে থেঁতলে খুন, এরপর পোড়ানো হয় দেহ! সল্টলেকের খুনে তান্ত্রিক যোগ?

পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত গীতাদেবীর স্বামী ও বড় ছেলে বিশেষভাবে সক্ষম। অনিলবাবুর ব্যবসায় মন্দা থাকায় বছরখানেক আগে বাড়িতে তান্ত্রিক ডাকেন গীতাদেবী।

Reported By: রণয় তেওয়ারি | Updated By: Dec 11, 2020, 04:55 PM IST
নোড়া দিয়ে থেঁতলে খুন, এরপর পোড়ানো হয় দেহ! সল্টলেকের খুনে তান্ত্রিক যোগ?
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: সল্টলেকে কঙ্কাল উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিস সূত্রে খবর, দেড় মাস আগে খুন করা হয় অনিল মহেন্সারিয়ার বড় ছেলে অর্জুনকে। নোড়া দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয় তাঁকে। খুনের আগে তাঁকে কিছু খাওয়ানো হয় বলেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান। খুনের পর পোড়ানো হয় দেহ। আধপোড়া অবস্থায় বস্তাবন্দি করে দেহ রেখে দেওয়া হয় চিলেকোঠায়। গন্ধ আটকাতে পোড়ানো হয় লঙ্কা ও গোলমরিচ। 

পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত গীতাদেবীর স্বামী ও বড় ছেলে বিশেষভাবে সক্ষম। অনিলবাবুর ব্যবসায় মন্দা থাকায় বছরখানেক আগে বাড়িতে তান্ত্রিক ডাকেন গীতাদেবী। তাদের দাবি এরপরেই কিছুটা উন্নতি হয় ব্যবসায়। তার কয়েকদিন পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। সল্টলেকের বাড়ি ছেড়ে রাজারহাটে থাকতে শুরু করেন অনিল মহেন্সারিয়া। 

আরও পড়ুন:  ছাদ থেকে উদ্ধার বড় ছেলের কঙ্কাল, বাবার অভিযোগে গ্রেফতার মা ও ভাই

বেশ কিছুদিন ওই বাড়িতে থাকার পর  ছেলে মেয়েদের নিয়ে রাঁচিতে বাপের বাড়ি চলে যান গীতা মহেন্সারিয়াও। অনিলবাবু খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বড় ছেলে অর্জুন তাঁদের সঙ্গে নেই। এরপরেই বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। গোটা ঘটনায় তান্ত্রিকের কোনও যোগ আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তান্ত্রিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে পুলিসসূত্রে খবর। 

.