২৪ ঘণ্টার খবরের জের, বিধাননগরে পরিচারিকা নির্যাতনে অভিযুক্ত সম্রাট রায়চৌধুরী গ্রেফতার
চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। অবশেষে ব্যবস্থা নিল প্রশাসন। গ্রেফতার করা হল বিধাননগরে পরিচারিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সম্রাট রায়চৌধুরীকে।
বিধান নগর: চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। অবশেষে ব্যবস্থা নিল প্রশাসন। গ্রেফতার করা হল বিধাননগরে পরিচারিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সম্রাট রায়চৌধুরীকে।
অভিযুক্তের নাম নিয়ে সমস্যা থাকায় সম্রাট রায় চৌধুরীকে ডেকে পাঠানো হয় বিধাননগর থানায়। ছবি দেখেই সম্রাটকে চিহ্নিত করেন নির্যাতিতা। গোসাবা থানায় এক মাসেরও আগে অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্যাতিতা। তবে পাশে পাননি পুলিস প্রশাসনকে। গত এক মাস গোসাবা থানায় ধরনা দিয়েও কাজ হয়নি। মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় এই খবর সম্প্রচারের পরই ব্যবস্থা নিল পুলিস। গ্রেফতার করা হল ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সম্রাট রায় চৌধুরীকে। বয়ান রেকর্ড করতে থানায় ডেকে পাঠানো হয় নির্যাতিতাকে। অন্যদিকে ঘটনা শোনার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিধাননগরের পরিচারিকারা। বিএ ব্লকে অভিযুক্তের বাড়ির সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নামে পুলিস।
তবে এত সবের পরেও নির্যাতিতা যে ওই বাড়িতে কাজ করতেন তা অস্বীকার করে চলে অভিযুক্তের পরিবার। শুধু তাই নয়, বারবার সংবাদ মাধ্যমকেও ভুল তথ্য দেন অভিযুক্তের পরিবার। শেষ পর্যন্ত নির্যাতিতা যে ওই ফ্ল্যাটে কাজ করতেন তা স্বীকার করেন রায় চৌধুরী পরিবারের সদস্যরা। যদিও তাদের বয়ানে মিলেছে বিস্তর অসঙ্গতি।
এর মধ্যেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল অভিযুক্তের নাম নিয়ে। নির্যাতিতা জানিয়েছিলেন সোমনাথ রায়চৌধুরীর বাড়িতে কাজ করতেন তিনি। তবে আদতে অভিযুক্তের নাম সম্রাট রায় চৌধুরী। নিশ্চিত হতে অভিযুক্তের ফ্ল্যাট থেকে একটি ফ্যামিলি ফোটোগ্রাফ সংগ্রহ করে পুলিস। সেই ছবি দেখে সম্রাট রায় চৌধুরীকেই অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেন নির্যাতিতা। মঙ্গলবার বিকেলে সম্রাট রায় চৌধুরীকে থানায় ডেকে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। এরপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।