বিমল গিরির পর এবার উজ্জ্বল পাল, সারদা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বে ফের বয়ান বদলের অভিযোগ
বিমল গিরির পর এবার উজ্জ্বল পাল। সারদা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বে ফের বয়ান বদলের অভিযোগ উঠল। তার জেরে রীতিমতো বিব্রত সারদা প্রতারণাকাণ্ডের তদন্তকারীরা। শুক্রবার ছিল বিধাননগর মহকুমা আদালতে সারদা প্রতারণা মামলার ৩১ ও ৩৬ নম্বর কেসের সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। প্রথম সাক্ষ্য দিতে আসেন উজ্জ্বল পাল। সারদা সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন কর্মীদের বেতন দিচ্ছেন না। এই মর্মে একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন তিনি। শুক্রবারের সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বে সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা উজ্জ্বল পালকে জেরা করেন। দুই আইনজীবীর দাবি, এফআইআরের বক্তব্যের সঙ্গে উজ্জ্বল পালের বক্তব্যে বিস্তর ফারাক ধরা পড়েছে।
বিমল গিরির পর এবার উজ্জ্বল পাল। সারদা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বে ফের বয়ান বদলের অভিযোগ উঠল। তার জেরে রীতিমতো বিব্রত সারদা প্রতারণাকাণ্ডের তদন্তকারীরা। শুক্রবার ছিল বিধাননগর মহকুমা আদালতে সারদা প্রতারণা মামলার ৩১ ও ৩৬ নম্বর কেসের সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। প্রথম সাক্ষ্য দিতে আসেন উজ্জ্বল পাল। সারদা সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন কর্মীদের বেতন দিচ্ছেন না। এই মর্মে একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন তিনি। শুক্রবারের সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বে সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা উজ্জ্বল পালকে জেরা করেন। দুই আইনজীবীর দাবি, এফআইআরের বক্তব্যের সঙ্গে উজ্জ্বল পালের বক্তব্যে বিস্তর ফারাক ধরা পড়েছে।
উজ্জ্বল পালের করা এফআইআরে সুদীপ্ত সেন, অরবিন্দ সিং চৌহ্বান, দেবযানী মুখার্জি ও মনোজ নাগেলের নাম ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার আইনজীবীদের জেরায় তিনি বলেন, অসঙ্গতি ১: দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও মনোজ নাগেলকে তিনি চেনেন না। সংস্থার পুরো দায়িত্বভার ছিল অর্পিতা চৌধুরী নামে এক মহিলার ওপর। তাঁর নির্দেশেই সবকিছু চলত।
অসঙ্গতি ২: উজ্জ্বল পাল জানিয়েছিলেন, এফআইআরের মধ্যে বেশ কিছু হাতের লেখা রয়েছে। ওই সব লেখা কার, তা তিনি জানেন না। কিন্তু দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবীর দাবি, উজ্জ্বল পালের এফআইআরে তাঁর সই ছাড়া আর কোথাও কোনও লেখা নেই।
অসঙ্গতি ৩: এফআইআরে উজ্জ্বল পালের অভিযোগ ছিল, সল্টলেকের ডিএন টোয়েন্টি থ্রির অফিসে বিদ্যুত ও জলের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল। আইনজীবীদের দাবি, উজ্জ্বল যে দিন এফআইআর লেখেন, সেদিন অফিসেই তা কম্পিউটারে টাইপ করা হয় আইনজীবীদের প্রশ্ন, বিদ্যুত্ সংযোগ কেটে দেওয়া হলে তা কীভাবে সম্ভব?
এর আগে সারদা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের শুরুতেই ধাক্কা দিয়েছিলেন বিমল গিরি। কর্মীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না এবং প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকা জমা পড়ছে না। এই মর্মে সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণে বিমল গিরি বলেন, তিনি সারদা সংস্থায় কাজ করতেন। নিয়মিত বেতনও পেতেন।
সাক্ষীদের এই রকম বয়ান বদলের ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই বিব্রত সারদা মামলার তদন্তকারীরা। শুরু থেকেই এই মামলায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সাক্ষীদের বয়ান বদলে সেই বিতর্ক আরও বাড়ল।