নারী শিক্ষায় নজির গড়েছিল বামেরা, বলছে সেন্সাস
গ্রামে গ্রামে নারী শিক্ষার বিকাশে সারা দেশের মধ্যে সেরা কাজ করেছে পশ্চিমবঙ্গের বিগত বাম সরকার। এ কথা বলছে সদ্য প্রকাশিত ২০১১ সালের সেন্সাস রিপোর্ট। নারী সাক্ষরতা বৃদ্ধির হারে গোটা দেশের গড় পরিসংখ্যানকে টেক্কা দিয়েছে এ রাজ্য। পুরুষ ও নারীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনামূলক বিচারেও ছেলেদের পরাজিত করেছে মেয়েরা।
গ্রামে গ্রামে নারী শিক্ষার বিকাশে সারা দেশের মধ্যে সেরা কাজ করেছে পশ্চিমবঙ্গের বিগত বাম সরকার। এ কথা বলছে সদ্য প্রকাশিত ২০১১ সালের সেন্সাস রিপোর্ট। নারী সাক্ষরতা বৃদ্ধির হারে গোটা দেশের গড় পরিসংখ্যানকে টেক্কা দিয়েছে এ রাজ্য। পুরুষ ও নারীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনামূলক বিচারেও ছেলেদের পরাজিত করেছে মেয়েরা।
বাম জমানার শেষ দশ বছরে লক্ষণীয় ভাবে বেড়েছে নারীশিক্ষার হার। ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে আশাতীত বৃদ্ধি পেয়েছে নারী সাক্ষরতাও। জনগণনার সর্বশেষ রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই দশ বছরে পশ্চিমবঙ্গে সাক্ষর নারীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৭ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৭৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৭৭ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৭১। অর্থাত, বৃদ্ধির পরিমাণ ৭৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৯৬। শতাংশের বিচারে যে বৃদ্ধির হার ১০.৯। লক্ষণীয়, গোটা দেশে এই বৃদ্ধির গড় হার ১০.০১। অর্থাত, নারী শিক্ষার প্রসারে বাম জমানার শেষ দশকে পশ্চিমবঙ্গ যে গতিতে এগিয়েছে, সেই গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি গোটা দেশ।
তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে বিগত সেন্সাসের তুলনায় নতুন সেন্সাসে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। ১৯৯১-২০০১ সেন্সাসে বৃদ্ধির হার ছিল ১৭.৮০ শতাংশ। ২০০১-২০১১ সেন্সাসে এই বৃদ্ধির হার ১৩.৮০ শতাংশ। রাজ্যে এই মুহূর্তে জনসংখ্যা ৯ কোটি ১২ লক্ষ ৭৬ হাজার ১১৫। সারা দেশের জনসংখ্যা ১২১ কোটি ৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৫৭৩। জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং বিহারের পরেই। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গে পুরুষদের টেক্কা দিয়েছে মেয়েরাই। পুরুষ জন্মের হার বেড়েছে ১২.৯০ শতাংশ। সেখানে নারী জন্মের হার বেড়েছে ১৪.৯০ শতাংশ।