স্কুল-কলেজে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠের আবেদন করে মমতাকে চিঠি SFI-র
চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরসি ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনে অবস্থান স্পষ্ট করার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ছোটবেলা থেকে ছাত্রছাত্রীদের ধর্মনিরপেক্ষতা ও ঐক্যের পাঠ দিতে প্রতিটি স্কুলে রোজ সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল সরকার। সেই পথে হাঁটার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করলেন এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য।
মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে এসএফআই লিখেছে,'বর্তমান সময়ে প্রতিনিয়ত ভারতের ঐক্য়, সম্প্রীতি ও বহুত্ববাদী সংস্কৃতিকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা, পাঠক্রমকে হাতিয়ার করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়ানো হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার বিষ। এমন সময়ে কেরল সরকার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমারও আবেদন করছি, পশ্চিমবঙ্গে সরকারি পাঠক্রমে সংবিধানের প্রস্তাবনা ও প্রচার নিশ্চিত করা হোক।'
চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরসি ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনে অবস্থান স্পষ্ট করার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়,''আপনি সত্যি এনআরসি বিরোধী হলে কেরলের মতো সমস্ত স্কুল-কলেজে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করান ও বোঝান।''
প্রসঙ্গত, কেরলের মতো বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিজনেজ অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে সিএএ বাতিলের প্রস্তাব যৌথভাবে আনার দাবি জানিয়েছিল সিপিএম ও কংগ্রেস। কিন্তু সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বাম-কংগ্রেস বিধায়কদের উদ্দেশে বলেন, ''আপনারা বন্ধের নামে গুন্ডামি করেছেন। আপনাদের সঙ্গে একসঙ্গে কোন আন্দোলন করা সম্ভব নয়। আমি ১৩ তারিখ দিল্লির বৈঠকেও যাব না।'' এরপরই শরদ পাওয়ারকে ফোনে তা জানিয়ে দেন মমতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বিজেপি যোগের অভিযোগ তুলে সরব হন সুজন-মান্নানরা। সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ধর্মঘট সফল হওয়ার পর সম্ভবত দিল্লির বসেদের কাছে বকা খেয়েছেন। সেজন্য বিরোধী দলের বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন,''ওঁর জন্য দিল্লিতে বৈঠক আটকাবে না। মমতা থাকলেন না থাকলেন না যায় আসে না। ছাত্র সমাজ ও শিক্ষাসমাজ জড়িয়ে গিয়েছে। কেউ চায় না আইন কার্যকর হোক। গোটা ভারতে বনধ করেছি। এখানে করব না? ওনার বলে দেওয়া কায়দায় বনধ করতে হবে? মুখে যা বলছেন, কাজে তা করছেন না।''
আরও পড়ুন- বিক্ষোভের শঙ্কা, সন্ধেয় নয়, আলো থাকতেই আকাশপথে কলকাতায় আসবেন মোদী