মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, তাও অধরা শম্ভুনাথ কাউ
ধাপা কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাউকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত অধরা অভিযুক্ত কাউন্সিলর। ঘটনার পর দায়ের হওয়া এফআইআরে ন-জনের নাম থাকলেও এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে মাত্র একজন। বাকি আটজনের মধ্যে রয়েছেন স্বয়ং শম্ভুনাথ কাউ। ঘটনার পর পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে গিয়েছেন ধাপা মাঠপুকুরের বাসিন্দারা।
ধাপা কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাউকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত অধরা অভিযুক্ত কাউন্সিলর। ঘটনার পর দায়ের হওয়া এফআইআরে ন-জনের নাম থাকলেও এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে মাত্র একজন। বাকি আটজনের মধ্যে রয়েছেন স্বয়ং শম্ভুনাথ কাউ। ঘটনার পর পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে গিয়েছেন ধাপা মাঠপুকুরের বাসিন্দারা।
গতকালের ঘটনা এবং গ্রেফতারি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের মধ্যে থেকে গিয়েছে ঘণ্টাদুয়েকের ফারাক। অভিযোগ, সেই সময়েই গা-ঢাকা দিয়েছেন শম্ভুনাথ কাউ। এদিকে, গতকালের পর আজও এলাকা থমথমে। আতঙ্কের পাশাপাশি পুঞ্জীভূত হতে শুরু করেছে ক্ষোভ।
অন্যদিকে, ধরা পড়ার ভয়ে দাদার মৃত্যু সংবাদ পেয়েও হাসপাতালে এলেন না তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাউ। গতকাল সন্ধেয় ট্রেনের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় আটান্ন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দাদা বিশ্বনাথ কাউয়ের। তাঁকে শেষবার দেখার জন্য হাসপাতালে আসতে পারেন তৃণমূল কাউন্সিলর, এই সম্ভাবনা মাথায় রেখে বি আর সিং হাসপাতালে জাল পেতেছিল পুলিস। কিন্তু, শেষপর্যন্ত খালি হাতেই ফিরতে হল তাদের।ভিও- ডাউন আজমেঢ় শরিফ এক্সপ্রেসে করে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভুনাত কাউয়ের দাদা বিশ্বনাথ কাউ। বিধাননগর স্টেশনে ট্রেন ঢোকার সময়েই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। ট্রেন শিয়ালদায় পৌঁছলে সহযাত্রীরা জিআরপিতে খবর দেন। জিআরপি-র কর্মীরা বিশ্বনাথবাবুকে বি আর সিং হাসাপাতালে নিলে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বুধবার সকাল থেকেই ধাপায় তৃণমূল নেতা অধীর মাইতির হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে জড়িয়ে যায় শম্ভুনাথ কাউয়ের নাম। বাইরে থেকে ট্রেনে বাড়ির ফেরার পথে সেই খবর জানতে পারেন তাঁর দাদা বিশ্বনাথবাবু। কাউ পরিবরের দাবি, সেই খবর শোনার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন আটান্ন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাউ।
দু দফায় বাড়ি গিয়েও তাঁর খোঁজ পাননি গুণ্ডাদমন শাখার অফিসাররা। কিন্তু, দাদার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে শম্ভনাথ বাবু তাঁকে শেষবার দেখতে আসতে পারেন বলে মনে করছিল পুলিস। সেজন্য জাল বিছোনো হয় বিআরসিং হাসাপাতালে। রাত নটার পর থেকেই হাসপাতালের বিভিন্ন জয়গায় নজরদারি শুরু করেন এন্টালি থানা ও গুণ্ডাদমন শাখার অফিসাররা। কিন্তু অপেক্ষাই সার। ধরা পড়ার ভয়ে হাসপাতাল মুখো হননি শম্ভুনাথ কাউ। খালি হাতেই ফিরতে হয় পুলিসকে। এরআগে গার্ডেনরিচকাণ্ডে বরো চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নাকে ধরাতে কালঘাম ছুটেছিল সিআইডি-র। অভিযোগ উঠেছিল রাজনৈতিক মদতে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিতে পেরেছিল মুন্না। শম্ভুনাথ কাউয়ের ক্ষেত্রেও সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস। তবে, পুলিস সূত্রে খবর বুধবার রাতের দিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে শম্ভুনাথ কাউয়ের মোবাইলের লোকেশন মিলেছে।