ত্রিমূ্র্তির মাঝে কংগ্রেস কোথায়? ১২ ডিসেম্বর কর্মসূচি ঘোষণা সোমেনের

 ১২ ডিসেম্বর রানি রাসমনি রোডে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিলেন নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। 

Updated By: Dec 2, 2018, 10:29 PM IST
ত্রিমূ্র্তির মাঝে কংগ্রেস কোথায়? ১২ ডিসেম্বর কর্মসূচি ঘোষণা সোমেনের

মৌমিতা চক্রবর্তী

তৃণমূল-বিজেপির লড়াইয়ের ময়দানে কৃষক জাঠা করে গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে আলিমুদ্দিন। বিজেপি-তৃণমূলের দেখাদেখি ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশেরও ঘোষণা করে দিয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তৃণমূল-বিজেপি মিলিয়ে ভিড় আনার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। কিন্তু রাজ্যের আর এক বিরোধী কংগ্রেস কোথায় গেল? দক্ষিণবঙ্গে কার্যত সাইনবোর্ড হয়ে গেলেও উবে গেল শতাব্দীপ্রাচীন দল? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে বাংলার রাজনৈতিক অলিন্দে। আর প্রেক্ষাপটে ১২ ডিসেম্বর রানি রাসমনি রোডে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিলেন নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। 

দক্ষ সংগঠন হিসেবে এককালে সুনাম ছিল সোমেন মিত্রের। তাঁর ডাকে জড়ো হতেন কর্মীরা। ফের প্রদেশ কংগ্রেসের কম্যান্ড তাঁর হাতে। নবীনের জয়গানে বিশ্বাসী হয়েও পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব অভিজ্ঞ ও প্রবীণ সোমেনবাবুর কাঁধেই সঁপেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সূত্রের খবর, অধীরের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর থেকেই সোমেন ও অধীর গোষ্ঠীর মধ্যে চলছে বিবাদ। একে তো সংগঠনের হাঁড়ির হাল, তার উপরে অন্তর্দ্বন্দ্ব, কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে কংগ্রেস? ইতিমধ্যেই ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেড। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ব্রিগেড ভরাতে কোমর বেঁধেছে গেরুয়া শিবিরও। ব্রিগেড দূরঅস্ত, বর্তমান সংগঠনে মাঠ ভরানোর ক্ষমতা নেই কংগ্রেস, সে তো সর্বজনবিদিত। তা বলে একটা কর্মসূচিও নেই! এবার তাই নিজেদের শক্তি জানান দিতে  ১২ ডিসেম্বর রানি রাসমনি রোডে সভা করতে চলেছে কংগ্রেস। সোমেন মিত্র জানালেন, তৃণমূল ও বিজেপির জনবিরোধী কাজ নিয়ে মানুষকে জানানো হবে।

তা সেখানে কারা থাকবেন? প্রশ্ন শুনেই ইঙ্গিত ধরতে পেরেছেন দুঁদে রাজনীতিক সোমেন মিত্র।''হ্যাঁ, অধীর চৌধুরী রানি রাসমনি রোডের সমাবেশে থাকবেন'', মন্তব্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। রানি রাসমনি রোডের সভা সোমেন মিত্রের কাছেও চ্যালেঞ্জ। নিজেকে দক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে তো হবেই, একইসঙ্গে নেতাদেরও আনতে হবে এক জায়গায়।        

কিন্তু একটা-দুটো সভা করলেই কি কংগ্রেসের মরা গাঙে বান আসবে? প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, লোকসভা ভোটের আগে হাইকম্যান্ড কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে প্রদেশ নেতৃত্ব। সিপিএমের থেকে তৃণমূলই অঙ্কের হিসেবে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী হিসেবে অগ্রাধিকার পেতে পারে। ১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেডে হাজির থাকার কথা সনিয়া গান্ধীর। তখনই দেওয়াল লিখন স্পষ্ট হয়ে যাবে। তেমন হলে কর্তার ইচ্ছেয় কর্মই করতে হবে প্রদেশ নেতৃত্বকে। 

আরও পড়ুন- বাংলা জায়গা দেবে, অসমে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে আশ্বাস সিদ্দিকুল্লার

.