পরীক্ষার্থীদের টাকায় দামী মোবাইল কিনে বিতর্কে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান

পদে যোগ দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই সংস্থার ফান্ড থেকে প্রায় ৪৭ হাজার টাকা নিয়ে কেনা হয়ে গেল মোবাইল। এমনই অভিযোগ উঠল স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান প্রদীপ শূরের বিরুদ্ধে। পরীক্ষার্থীদের ফর্ম বিক্রি করে পাওয়া টাকা থেকে তৈরি হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ফান্ড। আর তা থেকেই কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না কর

Updated By: Nov 26, 2013, 03:44 PM IST

স্কুল সার্ভিস কমিশনের ফান্ডের টাকা নয়ছয় করে নিজের শখ মেটালেন কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান প্রদীর শূর। কিনলেন বহুজাতিক সংস্থার লেটেস্ট মডেলের একটি মোবাইল। যার জন্য প্রায় সাতচল্লিশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে কমিশনের ফান্ড থেকে। সেই টাকা, যা পরীক্ষাব্যবস্থায় কিংবা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য খরচ হওয়ার কথা, তা দিয়েই মেটানো হল চেয়ারম্যানের মোবাইলের দাবি।   
অভিযোগ ছিল, শাসক দলের জনৈক এক নেতার পছন্দের লোককে নিয়োগপত্র দিচ্ছেন না স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। অক্টোবরে সরে যেতে হয় তাঁকে। শাসক দলের ওই নেতার ঘনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচিত প্রদীপ শূরকে তড়িঘড়ি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আনা হয়। তাঁর নিয়োগ ঘিরে প্রথম থেকেই ছিল বিতর্ক।
কল্যাণী পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন প্রদীপ শূরের বিরুদ্ধে বাইশ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনে তাঁরই দল তৃণমূল কংগ্রেস। পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। এরপরই আঠাশে অক্টোবর স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেন তিনি। আর দায়িত্ব নেওয়ার ষোলো দিনের মাথাতেই এই কাণ্ড। 
এসএসসি-র ফান্ড থেকে সাতচল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে কেনা হল বহুজাতিক সংস্থার লেটেস্ট মডেলের ওই মোবাইল। জানা যাচ্ছে, চেয়ারম্যানের পছন্দ অনুযায়ীই নাকি এই মোবাইলটি তাঁর জন্য কিনেছে কমিশন! কিন্তু কোন ফান্ড থেকে টাকা নিয়ে মোবাইলটি কেনা হল?
 
মূলত পরীক্ষার্থীদের ফর্ম বিক্রি করে কমিশন যে টাকা পায়, সেই টাকা দিয়েই তৈরি হয় এই ফান্ড। শুধু একটা চাকরি পাওয়ার জন্য বহু পরীক্ষার্থীই অনেক কষ্ট করে এই ফর্মের টাকা জোগাড় করে তা কিনে থাকেন। প্রশ্ন উঠছে, শুধুমাত্র কারোর শখ মেটানোর জন্য সেই টাকা কি এভাবে নয়ছয় করা যায়?
কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমরা এনিয়ে কথা বলতে চাইলেও, রাজি হননি তিনি।   

.