অমিতেশ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ এসএসসি চেয়ারম্যানের, তালা ভেঙে ঘরে ঢোকেন সহ সচিব

দেড় বছর এসএসসি-র সহ সচিব পদে থাকলেও, আজ পর্যন্ত টেট নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি অমিতেশ বিশ্বাস। সাংবাদিক সম্মেলনে পাল্টা দাবি করলেন কমিশনের চেয়ারম্যান সুবিরেশ ভট্ট্যাচার্য।

সহকর্মীরাই অমিতেশ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, মহিলা সহকর্মীদের সঙ্গে খারপ ব্যবহার করতেন এসএসসি সহ সচিব।

গতকালের পর আজ ফের এসএসসি প্রধানের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সহসচিব অমিতেশ বিশ্বাস। গতকাল তিনি দাবি করেছিলেন, যোগ্যতামানের নীচে থাকা অনেক প্রার্থী এসএসসিতে চাকরি পেয়েছেন। পুরো বিষয়টি জানতেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে রাতেই তাঁকে রিলিজ অর্ডার ধরানো হয়।চেয়ারম্যান জানিয়ে দেন,অমিতেশ বিশ্বাসকে পুরোনো জায়গাতেই ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আজ সকালে এসএসসি দফতরে পৌছলে অমিতেশ বিশ্বাসকে ঢুকতে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। শেষপর্যন্ত জোর করে তালা ভেঙে দফতরে ঢোকেন অমিতেশ বিশ্বাস।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে সোমবার সরাসরি সংবাদমাধ্যমে বোমা ফাটান অমিতেশবাবু। বলেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষায় অনেক প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করানো হয়নি।আবার যোগ্যতামানের নিচের দিকে থাকা অনেকেও চাকরি পেয়েছেন। আর এ সবই জানতেন খোদ চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য।

অমিতেশবাবুর এই প্রকাশ্য মন্তব্যের পর পাল্টা আঘাত হানতে দেরি করেননি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তড়িঘড়ি অমিতেশবাবুকে সরিয়ে দেওয়া হয় দায়িত্ব থেকে। চেয়ারম্যানের দাবি,অমিতেশবাবুর একটাই অপরাধ। তাঁর কাছে অভিযোগ না জানিয়ে অমিতেশবাবু সরাসরি সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলে কমিশনের নিয়ম ভেঙেছেন।

অমিতেশবাবুকে আপাতত পাঠানো হয়েছে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে। যদিও সুবীরেশ ভট্টাচার্যের দাবি, তাঁকে কম্পালসারি ওয়েটিং পাঠানো হয়নি।

লোকসভা নির্বাচনের মুখে এ ভাবে মুখ খোলায় কি বিতর্ক ঢাকতে তড়িঘড়ি এসএসসির উপসচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অমিতেশ বিশ্বাসকে? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।