পুরভোটের আগে নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে ৩ টোটকা রাজ্যপালের
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরভোটে পঞ্চায়েতের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না। ক্ষমতাসীন দল যেন কোনওভাবে অনৈতিক সুবিধা না পায়। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের মতো কাজ করুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। রাজভবনের বৈঠকে পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
আসন্ন পুরভোট নিয়ে রাজভবনে আলোচনা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস ও রাজ্য নির্বাচন সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্যকে কড়া বার্তা রাজ্যপালের। তাঁর পরামর্শ,ক্ষমতাসীন দল যেন অনৈতিক সুবিধা না পায়। সব পক্ষের সঙ্গেই যেন কথা বলে কমিশন। একটি দল শুধু ক্ষমতায় আছে বলে কোনও অনৈতিক সুবিধা পেতে পারে না।
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার মেয়াদ এক দিন বাড়িয়েও শুধুমাত্র শাসকদলের চাপে কমিশন তা প্রত্যাহার করে নেয় বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। এদিন রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিয়েছেন, গত পঞ্চায়েত ভোটে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, পুরভোটে কোনো ভাবে তা বরদাস্ত করা হবে না। সব বিরোধী দল যাতে সমান সুযোগ সুবিধা পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সংবিধানে কমিশনকে সেই মতো প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেওয়া আছে
নির্বাচন নিয়ে সরকারপক্ষ ও কমিশনের মধ্যে টানাপোড়েন প্রতিবারের চেনা ছবি। সেই চাপের কাছে যে মাথা নোয়ানো চলবে না, পরিষ্কার করে দেন রাজ্যপাল। এদিনের বৈঠকে ধনখড় বলেন,''অবাধ ভোটের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সংবিধানে যে সব ক্ষমতা দেওয়া আছে, একই ক্ষমতা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও দেওয়া আছে।''
এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট হলে মাইক বিধির কারণে তাঁরা প্রচারের কোনও সুবিধা পাবেন না। এনিয়ে সরব বিরোধীরা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়েও বিস্তর আশঙ্কা অভিযোগ মিলেছে বিরোধী শিবির থেকে। কমিশনের দুই কর্তাকে রাজ্যপাল বলেছেন, অবাধ নির্বাচন মৌলিক অধিকার। তাই ভয়ের পরিবেশ দূর করতে হবে।
রাজ্যপাল অবশ্য অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না। বৈঠকের পর নিজস্ব ঢঙে টুইট করেছেন তিনি।
Had an update as regards Municipal Elections from State Election Commissioner Saurabh Kumar Das and Secretary Nilanjan Sandilya. It was indicated to them that all efforts be made to ensure free, fair and violence free elections. Level playing field for all is essential. pic.twitter.com/osFQBe4T6b
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 27, 2020
বলে রাখি,সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগকর্তা। নির্দেশ দিতে না পারলেও রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে পরামর্শ দিতে পারেন।
আরও পড়ুন- কৈশোরের স্পর্ধা! হাসপাতালেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ক্যানসার আক্রান্ত ছাত্র