হাফ প্যান্ট পরে রাইটার্সে গেলে লোকে মজা পাবে, রাজ্যপালকে খোঁচা সুব্রতর
মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যপালকে নিশানা করেছেন সুব্রত ও পার্থ।
কমলিকা সেনগুপ্ত: বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের দেখা পাননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বৃহস্পতিবার বিধানসভা গিয়ে দেখা পেলেন না স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে শাসক দল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর প্রবীণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নিশানাতেও ধনখড়। তাঁর কটাক্ষ, সবার মজা লাগছে। আমি যদি হাফ প্যান্ট পরে রাইটার্সে যাই, লোকে মজা পাবে।
তফসিলি জাতি ও জনজাতি কমিশন সংক্রান্ত নতুন বিল নিয়ে আলোচনার জন্য রাজভবন ছাড়পত্র না দেওয়া বিধানসভা অধিবেশন ২দিন মুলতুবি করে দেন স্পিকার। বৃহস্পতিবার অধিবেশন বন্ধ থাকাকালীনই বিধানসভায় যাওয়ার কথা জানান রাজ্যপাল। তাঁর দাবি, বুধবার দুপুরে বিধানসভার স্পিকারের অফিস থেকে বলা হয়, রাজ্যপাল বিধানসভায় এলে তাঁকে স্বাগত জানাবেন স্পিকার। কিন্তু কয়েকঘণ্টা পর জানানো হয় অধিবেশন চলছে না। স্পিকার নাও থাকতে পারেন। তাই রাজ্যপাল যেন না আসেন। বিধানসভার স্পিকারের অফিসের সিদ্ধান্ত, কার নির্দেশে বদলে গেল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। স্পিকারের অফিস থেকে বার্তা গেলেও রাজ্যপাল জানান, তিনি বিধানসভায় যাবেন। এদিন বিধানসভায় রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে কেউ ছিলেন না। গেটের বাইরেই নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তোলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের নাম না করে ইনফোকমের সভায় মমতা বলেছেন, ''দুঃখের সঙ্গে বলছি, বিলে অনুমতি না দেওয়ায় বিধানসভা মুলতবি করতে হয়েছে। তাও বিলগুলি চূড়ান্ত নয়। সেগুলি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হওয়ার কথা।''
মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যপালকে নিশানা করেছেন দুই মন্ত্রীও। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথায়,''আমাদের মজা লাগছে। সংবিধান মেনে আমরা রাজনীতি করি। সবার মজা লাগছে। আমি হাফ প্যান্ট পরে রাইটার্সে গেলেও লোকে মজা পাবে। ছুটির দিনে মজা লাগছে।'' তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ওনার দেখা উচিত চিড়িয়াখানা। সেখানে জনসংযোগ হতে পারে।
জগদীপ ধনকড় এদিন জানিয়েছেন ভবিষ্যতেও তিনি রাজ্যের নানা প্রান্তে এভাবেই ছুটে যাবেন। সুতরাং, এই সংঘাত, চাপানউতোরও চলতেই থাকবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- মাঝারি শিল্পে বাংলা এক নম্বর, দেশে বেকারত্ব বাড়লেও রাজ্যে কমেছে ৪০%: মমতা