“এমন আন্দোলন করুন যাতে পুলিস গুলি চালায়, ২০টা লোক মরে”, বিজেপিকে পরামর্শ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের
তিনি বলেন, “এত খুচরো আন্দোলন না করে বড়ো আন্দোলন করুন। গঙ্গার ওপারে গিয়ে এই যে করছেন, তাতে আপনারা একটা জায়গা পর্যন্ত যাবেন। পুলিশ আপনাদের আটকাবে , ছবি হবে, আমরা দেখব। তাতে লাভ কী! এমন আন্দোলন করুন, যাতে বাধ্য হয়ে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়। ২০ টা লোক মরে । খাদ্য আন্দোলন সরকার বদলে ছিল।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: “খুচরো আন্দোলন না করে বড় আন্দোলন করুন, যাতে পুলিসকে গুলি চালাতে হয়, ২০টা লোক মরে।” বিজেপির আন্দোলনকে কটাক্ষ করতে গিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূলমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “এত খুচরো আন্দোলন না করে বড়ো আন্দোলন করুন। গঙ্গার ওপারে গিয়ে এই যে করছেন, তাতে আপনারা একটা জায়গা পর্যন্ত যাবেন। পুলিশ আপনাদের আটকাবে , ছবি হবে, আমরা দেখব। তাতে লাভ কী! এমন আন্দোলন করুন, যাতে বাধ্য হয়ে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়। ২০ টা লোক মরে । খাদ্য আন্দোলন সরকার বদলে ছিল।”
বিজেপির উদ্দেশে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এহেন মন্তব্যে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও কাটমানি ইস্যুতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিজেপি। এদিন সকালে নবান্নের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা। পুলিস আগে থেকেই এলাকায় মোতায়েন ছিল। কিন্তু খুবই সাধারণভাবে অতর্কিতে নবান্নের সামনে চলে আসেন তাঁরা। তারপর বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দলীয় পতাকা বার করে এলাকায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
রোজভ্যালিকাণ্ডে ইডি ডাকে সাড়া অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা
বিক্ষোভ আঁচ ধরা পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেও। দুর্গাপুরে কাঁকসায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। কাঁকসা বিডিও অফিসের সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
এর আগে আইন শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে কিছুদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে মিছিল করে থানায় স্মারকলিপি দেন সায়ন্তন বসু ও ভারতী ঘোষ। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির একের পর এক বিক্ষোভ কর্মসূচি জারি রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করে ফেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।