সরকার গড়ার ৬ মাসের মধ্যে শরিকি বিবাদ তুঙ্গে

মুখ্যমন্ত্রীর পর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এবার সুর চড়ালেন তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারে কংগ্রেস না থাকলেও কোনও সমস্যা হবে না। কংগ্রেসও অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছে পাল্টা আক্রমণের পথেই থাকছে তারা।

Updated By: Nov 19, 2011, 09:14 PM IST

মুখ্যমন্ত্রীর পর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এবার সুর চড়ালেন তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারে কংগ্রেস না থাকলেও কোনও সমস্যা হবে না। কংগ্রেসও অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছে পাল্টা আক্রমণের পথেই থাকছে তারা। দলের সব শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সন্ত্রাস নিয়ে তৃণমূলের পাঠানো চিঠির কড়া জবাব দেওয়া হবে। জোটে থাকা দুই দলের টানাপোড়েন ক্রমশই যেন বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রীর হুমকির পর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এবার সুর চড়া করলেন তৃণমূলের শীর্য নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্য সরকারে যে কংগ্রেসকে তাদের কোনও প্রয়োজন নেই শিলিগুড়িতে এমনই মন্তব্য করেছেন সুদীপবাবু। তবে তৃণমূলের এই হুশিয়ারিকে কার্যন্ত আমল না দিয়ে পাল্টা আক্রমণের পথে হাটতে চলেছে কংগ্রেসও। দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে ঠিক হয়েছে কড়া ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে মুকুল রায়ের চিঠির। কংগ্রেসের চিঠিতে বলা হচ্ছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের একাংশ। আক্রান্ত হচ্ছেন কংগ্রেস কর্মীরা। চিঠিতে ৬৪ টি  ঘটনার উল্লেখ থাকছে যেখানে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। মৌন মিছিলের পর কংগ্রেস নেতৃত্ব এখন ব্যস্ত রবিবারের পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন নিয়ে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন গ্রাম গঞ্জের কংগ্রেস কর্মীরা। সম্মেলনে কী দাবি তাদের? তবে এই বিতর্কে সরাসরি না ঢুকে প্রদীপ ভট্টাচার্যের দাবি, ক্রমশ চাঙ্গা হচ্ছে কংগ্রেস।
জোট সরকারের বয়স মাত্র ছয় মাস। তারমধ্যেই দু তরফে বাকযুদ্ধ আর পত্রযুদ্ধ তুঙ্গে। রবিবারের পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলনে এই জল যে আর বহুদূর গড়াবে তার ইঙ্গিতও কিন্তু স্পষ্ট।

.