Suvendu Adhikari, Nabanna Abhiyan: 'আদালতের নির্দেশে বেরোলাম', লালবাজার থেকে ছাড়া পেলেন শুভেন্দু
হাওড়ায় আটক করা হয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। শিবপুর সংশোধানাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনিও। নবান্ন অভিযান নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের।
মৌমিতা চক্রবর্তী ও অর্ণবাংশু নিয়োগী: তখন বিজেপির নবান্ন অভিযান চলছে। লালবাজারে বসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ৫ ঘণ্টা পর অবশেষে ছাড়া পেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহাও। শুভেন্দুর দাবি, 'আমাদের গ্রেফতারির পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল দলের লিগ্যাল সেল। প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, পার্সোনাস বন্ডে এদের ছাড়়তে হবে। সেকারণেই আমরা বেরোলাম'। এদিকে বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট।
বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে এদিন উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা ও হাওড়া। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় লালবাজার ও কলেজ স্ট্রিটেও। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। সঙ্গে জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস। এমজি রোডে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিসের জিপ!
হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছি ও কলেজ স্কোয়ার। এদিন তিন দিক থেকে মিছিল করে নবান্নের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। পিটিএস থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে নবান্নের দিকে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্য়ায় ও রাহুল সিনহারা। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার মুখে মিছিল আটকায় পুলিস। কেন? কর্তব্যরত পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। তারপর? স্রেফ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নন, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাকেও আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। কলকাতা পুলিসের সদর দফতরে বসে ফেসবুক লাইভ করেন শুভেন্দু।
বিজেপি নবান্ন অভিযান শেষ হওয়ার পর, সন্ধ্যায় লালবাজার থেকে বেরোন শুভেন্দু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের ২০০ থেকে ২৫০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি হাসপাতালে ভর্তি। আমরা লড়াই করব'। হাওড়ায় আটক করা হয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। শিবপুর থানা থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনিও।
এদিকে দেহরক্ষী অস্বাভাবিক মৃত্যু-সহ একাধিক অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে একাধিক থানায়। কিন্তু নন্দীগ্রাম বিধায়ককে এখনই গ্রেফতার করা যাবে না বা তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্চ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে দেশের শীর্ষ আদালত। তাহলে নবান্ন অভিযানে শুভেন্দুকে কেন আটক? এদিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। সেই মামলায় ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারক। জানালেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিস।