আমিও সতীর্থের মতো ব্রিগেডিয়ার হতে পারতাম, ঐতিহাসিক রায়ের দিন আক্ষেপ স্বপ্নার

সরাসরি যুদ্ধেও মহিলারা সক্ষম বলে মনে করেন স্বপ্না দত্ত। 

Reported By: কমলিকা সেনগুপ্ত | Updated By: Feb 17, 2020, 09:05 PM IST
আমিও সতীর্থের মতো ব্রিগেডিয়ার হতে পারতাম, ঐতিহাসিক রায়ের দিন আক্ষেপ স্বপ্নার

নিজস্ব প্রতিবেদন: ''আমার সতীর্থ এখন ব্রিগেডিয়ার। আমিও হতে পারতাম।'' সেনাবাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী নিয়োগের ঐতিহাসিক রায়ের দিন আক্ষেপ ঝরে পড়ল স্বপ্না দত্তের গলায়। বাহিনীর শর্ট সার্ভিসে কলকাতা থেকে তিনিই প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন।  

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, কমব্যাট উইং ছাড়া সেনাবাহিনীর সমস্ত স্তরে আগামী ৩ মাসের মধ্যে মহিলাদের স্থায়ী নিয়োগের ব্যবস্থা বলবত্ করতে হবে। এই দিনটার জন্য় দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন মহিলারা। স্বপ্না দত্তের কথায়,''ছোটবেলা থেকে অনেকবার একটা কথাই শুনতে হয়েছে, মেয়েরা পারবে না। তাই ১৯৯২ সালে শর্ট সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞাপন দেখে সঙ্গে সঙ্গে আবেদন করি। সুযোগ পেয়ে যাই। চাকরি পাই মুম্বই অর্ডিন্যান্সের লজিস্টিকে।'' 

অতীতে ফিরে গেলেন স্বপ্না। বলেন, ''চাকরিতে যোগ দিলেও সবসময় মনে হতো, পুরুষ সহকর্মীদের স্থায়ী চাকরি। তাঁরা থেকে যাবেন, আর আমাদের অবসর নিতে হবে।'' এমন বৈষম্য়ের বিরুদ্ধে লড়াইটা শুরু করেছিলেন স্বপ্নার সতীর্থরাই। অবশেষে এসেছে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। স্বপ্না বলেন,''২৭ বছর লেগে গেল। আজ অনেক আনন্দের দিন আমরা স্বীকৃতি পেলাম।''

সরাসরি যুদ্ধেও মহিলারা সক্ষম বলে মনে করেন স্বপ্না দত্ত। তাঁর কথায়,''মেরি কম যদি পারে বক্সিংয়ে দেশকে গর্বিত করেন, তাহলে প্রশিক্ষণ পেলে মহিলারা কমব্যাটে পারবেন।'' স্বপ্নার স্বামী কর্নেল দেবাশিসও খুশি আদালতের রায়ে। তিনিও কমব্যাটে মহিলাদের দেখতে চাইছেন। তাঁর আশা,একদিন যুদ্ধক্ষেত্রে মহিলারা লড়াই করবেন, তখন মানসিকতা বদলে যাবে।

শুধু স্থায়ী নিয়োগ নয়, পুরুষদের সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মহিলাদের স্থায়ী নিয়োগের বিরোধিতায় কেন্দ্রের যুক্তি লিঙ্গ বৈষম্যমূলক, আদ্যিকালের ও বিরক্তিকর। শুধু তাই নয়, শর্ট সার্ভিস কমিশনে যাঁরা ১৪ বছরের বেশি বাহিনীতে কাজ করেছেন, তাঁদের স্থায়ী কমিশনে আনতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি অজয় রাস্তোগির বেঞ্চ।

আরও পড়ুন- রেলের ইতিহাসে প্রথমবার! সংরক্ষিত আসনের যাত্রীর নাম 'মহাকাল', উদ্বোধন করলেন মোদী

 

 

.