টেলিফোন ভবনে যান্ত্রিক ত্রুটি, আচমকা বসে গেল ৬টি টাওয়ার
টেলিফোন ভবনে যান্ত্রিক ত্রুটি। আচমকা বসে যায় ৬টি টাওয়ার। যার প্রভাব পড়ল গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক পরিষেবায়। এরফলে সমস্যা দেখা দেয় কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে। লিঙ্ক না থাকায় শিয়ালদা শাখার বিভিন্ন স্টেশনে বন্ধ হয়ে যায় টিকিট বুকিং। বিপর্যস্ত হয় এটিএম। তবে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় ত্রুটি মেরামত করে পরিস্থিতি সামাল দেয় বিএসএনএল।
ওয়েব ডেস্ক: টেলিফোন ভবনে যান্ত্রিক ত্রুটি। আচমকা বসে যায় ৬টি টাওয়ার। যার প্রভাব পড়ল গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক পরিষেবায়। এরফলে সমস্যা দেখা দেয় কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে। লিঙ্ক না থাকায় শিয়ালদা শাখার বিভিন্ন স্টেশনে বন্ধ হয়ে যায় টিকিট বুকিং। বিপর্যস্ত হয় এটিএম। তবে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় ত্রুটি মেরামত করে পরিস্থিতি সামাল দেয় বিএসএনএল।
সকাল সাড়ে ৭টা। যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে হঠাতই বিকল হয় যায় টেলিফোন ভবনের এনআইবি। এই এনআইবি থেকেই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে বিএসএনএল। যার মধ্যে অন্যতম হল কলকাতা বিমানবন্দর। বিমানবন্দর সংলগ্ন সাড়ে ৫০০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে যেসমব বিমান থাকে, বিএসএনএলের ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করে রেডার মারফত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে এটিসি। প্রয়োজনমত নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবারের যান্ত্রিক ত্রুটির ফলে সমস্যা দেখা দেয় এটিসিতেও।
একসঙ্গে ৬টি টাওয়ার বসে যাওয়ায় সাড়ে ৫০০ থেকে বিমানবন্দরের এটিসির কাজকর্মের পরিধি কমে দাঁড়ায় আড়াইশো নোটিক্যাল মাইলে। কলকাতা বিমানবন্দরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ওড়িশার বেরহামপুরের বিস্তীর্ণ অংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে লখনৌ বিমানবন্দরের এটিসির সাহায্যে কাজ চালানো হয় কলকাতা বিমানবন্দরে। তবে যুদ্ধকালীন তত্পরাতয় দুঘণ্টার মধ্যে ত্রুটি মেরামত করে বিএসএনএল।
শুধু বিমানবন্দর নয়। বিএসএনএলের যান্ত্রিক ত্রুটির প্রভাব পড়ে রেলের যাত্রী পরিষেবাতেও। লিঙ্ক না থাকায় শিয়ালদা শাখার অধিকাংশ স্টেশনে সাময়িক বন্ধ ছিল টিকিট কাউন্টার। একই সমস্যা দেখা দেয় বিএসএনএলের নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারি এটিএমগুলোয়। সাময়িক ভাবে টাকা তুলতে পারেননি বহু মানুষ। তবে ব্রডব্যান্ডে কোনও প্রভাব না পড়ায় সাধারণ উপভোক্তাদের কোনও সমস্যা হয়নি।