আজ থেকে খুলে গেল চিড়িয়াখানার দরজা, বদলানো হয়েছে নিয়ম
খাঁচার সামনে দশ জনের বেশি কাউকে জমায়েত ও ভিড় করতে দেওয়া হবে না। তবে ছোট খাঁচার সামনে দাঁড়াতে দেওয়া হবে ৫ জনকে। দেখার জন্যও বেধে দেওয়া হবে সময়ও।
২ অক্টোবর থেকে খুলে গেল আলিপুর চিড়িয়াখানার দরজা। অনেক নিয়ম বদলেছে চিড়িয়াখানার। ছয় মাসের ব্যবধানের অবশেষে, শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে প্রবেশ করা যাচ্ছে চিড়িয়াখানায়। তবে ১০ বছরের নিচে কোনও শিশুকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।
১৭ই মার্চ শেষবার চিড়িয়াখানা ঘুরতে পেরেছিলেন দর্শকরা। করোনা পরিস্থিতিতে বদলে গিয়েছে সেই সমস্ত চলতি নিয়ম। টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকবে। অনলাইনে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হবে আলিপুর চিড়িয়খানায়। বন দফতরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অন লাইন টিকিট কাটা যাবে। খাঁচার সামনে দশ জনের বেশি কাউকে জমায়েত ও ভিড় করতে দেওয়া হবে না। তবে ছোট খাঁচার সামনে দাঁড়াতে দেওয়া হবে ৫ জনকে। দেখার জন্যও বেধে দেওয়া হবে সময়ও।
আরও পড়ুন: একদিনে সর্বাধিক ২০০০ জন দর্শক, আগামিকাল থেকে খুলছে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিউজিয়াম
হাতে পানীয় জলের বোতল, মুখে মাস্ক রাখতে হবে। চিড়িয়াখানার ভিতরে বন্ধ রয়েছে পানীয় জলের ব্যবস্থা। চিড়িয়াখানার মূলফটকে থাকবে থার্মাল স্ক্যানিং ও স্ট্যানিটাইজার মেশিন। প্রবেশ পথে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্বের জন্য কড়া নজরদারির ব্যবস্থা থাকছে। পশুপাখিদের খাঁচার থেকে রাখতে হবে কাঙ্ক্ষিত দূরত্ব। কোনো ফেনসিং স্পর্শ করা যাবে না। একটি নির্দিষ্ট খাঁচার সামনে সর্বাধিক জনের বেশি জমায়েত বা ভিড় করা যাবে না।
শুক্রবার সকালেই চন্দননগর থেকে পৌঁছে গিয়েছেন দাস পরিবার। একঘেঁয়ে ঘর বন্দী জীবন থেকে বেরিয়ে সামান্য মুক্ত বাতাসে ঘুরতে, তাঁরা গাড়ি করে সকাল ৯টার সময় চলে এসেছেন আলিপুর চিড়িয়াখানায়। মা, বাবা সঙ্গে একাদশ শ্রেনীর ছাত্র। গতকাল বিকেলেই অনলাইন টিকিট কেটেছিলেন তাঁরা।