অভ্যন্তরীণ চাপ সামলাতে দলীয় বৈঠকে কংগ্রেস, তৃণমূল
তৃণমূলের অন্দরে ক্রমশই বাড়ছে গোষ্ঠীকোন্দল। একই সঙ্গে দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠছে বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং জেলার বেশ কিছু শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহূর্তে বেশ বেকায়দায় প্রদেশ কংগ্রেস। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার জন্য চাপ আসছে জেলা থেকে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্দোলন আদৌ গড়ে তোলা সম্ভব কি না তা নিয়ে স্পষ্টতই দ্বিধাবিভক্ত দল। শনিবার বৈঠকে বসছে দু`দলই।
তৃণমূলের অন্দরে ক্রমশই বাড়ছে গোষ্ঠীকোন্দল। একই সঙ্গে দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠছে বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং জেলার বেশ কিছু শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকজন সাংসদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে দলের। কবীর সুমন, দীনেশ ত্রিবেদীর পর শতাব্দী রায়, তাপস পালদের বিরুদ্ধে ক্রমশ সরব হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ।
সূত্রে খবর, ক্ষমতায় আসার দশ মাসের মধ্যেই বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগও জমা পড়েছে নেত্রীর কাছে। কী ধরনের অভিযোগ?
১) বেশ কিছু বিধায়ক দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা না বলেই নিজেরাই সমান্তরাল দল চালাচ্ছেন।
২) স্বজনপোষনের গুরুতর অভিযোগও উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
৩) রয়েছে গোষ্ঠীকোন্দলকে মদত্ দেওয়ার অভিযোগ।
৪) কয়েকজন আবার দলের নির্দেশের তোয়াক্কা না করে নিজেদের খুশিতে চলছেন।
৫) একাধিক দুর্নীতির অভিযোগও জমা পড়েছে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ বিধায়কের বিরুদ্ধেও।
তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে গোষ্ঠীকোন্দল। জেলাস্তরের সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন সিএম জাটুয়া, রচপাল সিং, মলয় ঘটকের মতো মন্ত্রীরাও। এই অবস্থায় শনিবারের বৈঠকে বসছে তৃণমূল। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের একাংশ মনে করছেন পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারেন নেত্রী।
অন্যদিকে, রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহূর্তে বেশ বেকায়দায় প্রদেশ কংগ্রেস। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার জন্য চাপ আসছে জেলা থেকে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্দোলন আদৌ গড়ে তোলা সম্ভব কি না তা নিয়ে স্পষ্টতই দ্বিধাবিভক্ত দল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার সবুজ সঙ্কেত আদৌ পাওয়া যাবে কি না জানেন না কেউই। এই অবস্থায় শনিবারেই বৈঠকে বসছে প্রদেশ কংগ্রেসও। বৈঠকে সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রীদের থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য।
তবে, নিঃসন্দেহে দুই বৈঠকেরই কিন্তু মূল আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। জোটসম্পর্ক এমনই অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে দু`দলই স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে মরিয়া। তবে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিশ্চিত ভাবেই চিন্তিত নেতারা।