মদন মিত্রের পাশেই থাকছে দল, কিন্তু, দূর থেকে
মদন মিত্রের পাশেই থাকছে দল। কিন্তু, দূর থেকে। প্রকাশ্যে কোনও উচ্ছ্বাস, কোনও উত্সব নয়। এমন কোনও কাজ নয় যাতে প্রভাবশালী বলার সুযোগ পায় CBI। নেতা, মন্ত্রী থেকে ছোট কর্মী। সকলের কাছেই পৌছেছে শীর্ষ নেতৃত্বের সতর্কবার্তা।
ওয়েব ডেস্ক: মদন মিত্রের পাশেই থাকছে দল। কিন্তু, দূর থেকে। প্রকাশ্যে কোনও উচ্ছ্বাস, কোনও উত্সব নয়। এমন কোনও কাজ নয় যাতে প্রভাবশালী বলার সুযোগ পায় CBI। নেতা, মন্ত্রী থেকে ছোট কর্মী। সকলের কাছেই পৌছেছে শীর্ষ নেতৃত্বের সতর্কবার্তা।
মন্ত্রী নন। বিধায়ক নন। দলের কোনও পদেও নেই। ছোটখাটো যাবতীয় পদ ছেড়েছেন। তবু আম আদমি মদন মিত্র, তৃণমূলে স্পেশাল। তাঁর জামিনের খবরে আদালতে ছুটে যান দলের মহাসচিব।
এমনটা হওয়াই তো স্বাভাবিক। মদন মিত্রের গ্রেফতারির গোড়া থেকেই তো পাশে ছিল দল। কিন্তু, ভালবাসাই হয়ে দাঁড়াল গলার কাঁটা। মদন মিত্রের সমর্থনে তৃণমূল পথে নামল, অনুগামীরা কোর্টে ভিড় জমালেন। আর CBI হাতে পেল প্রভাবশালীর হাতিয়ার। যার ফল বারবার জামিন খারিজ।
একসময় দূরত্ব বাড়ে দলের সঙ্গেও। SSKM-এ অসুস্থ দিনগুলি কিংবা জেলের মন্দির ওয়ার্ডে বন্দিজীবন। কেউ খোঁজ নেয় না। বারবার আক্ষেপ করতেন মদন মিত্র। তৃণমূল সূত্রে খবর, মদনের প্রভাবশালী অভিশাপ ঘোঁচাতেই সুচিন্তিত কৌশলে দূরত্ব রাখত দল। জামিনে মুক্তির পরেও দূর থেকেই পাশে থাকছে দল। ফোনে খোঁজ সকলেই নিয়েছেন। কিন্তু, মদনের হোটেলের ছায়াও মাড়াননি কেউ।
ইউরোপ থেকে ফোনে মদন মিত্র সম্পর্কে খোঁজ নিলেও ফেরার পর বিমানবন্দরে কিছু বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী সফরসঙ্গীর প্রতিক্রিয়াও ছিল সতর্ক। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, জামিন পেলেও সারদা মামলায় এখনও খালাস পাননি মদন মিত্র। তাই এখনই অতি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলে পাশার দান পাল্টে যেতেও পারে। তাই দূর থেকেই পাশে থাকবে দল।