সোমেনপত্নীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে দল
বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক শিখা মিত্রের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে চলেছে দল। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সুপারিশ মেনে প্রথমে শোকজ, এবং পরে সাসপেন্ডও করা হতে পারে তাঁকে। তৃণমূল সূত্রে খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে কোনও কোনও মহল থেকে এখনও বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা চলছে।
বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক শিখা মিত্রের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে চলেছে দল। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সুপারিশ মেনে প্রথমে শোকজ, এবং পরে সাসপেন্ডও করা হতে পারে তাঁকে। তৃণমূল সূত্রে খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে কোনও কোনও মহল থেকে এখনও বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা চলছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির রিপোর্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা পড়েছে। রিপোর্টে শিখা মিত্রকে কঠোর শাস্তি দেওয়ারই সুপারিশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কংগ্রেস ভবনে দাঁড়িয়ে দলের একজন বিধায়ক যে মন্তব্য করেছে তাতে তাঁকে বহিষ্কার করাই উচিত। কিন্তু শিখা মিত্রের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রথমে তাঁকে শে-কজ করা হবে। তিনি কোনও সন্তোষজনক কারণ দেখাতে না পারলে সাসপেন্ড করা হবে। এই শুক্রবারের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সেরে ফেলা হবে বলে খবর। এর আগে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছিল সাধন পাণ্ডেকে। সেক্ষেত্রেও তাঁকে দীর্ঘদিন সাসপেন্ড করে রেখে দেওয়া হয়। বিধানসভায় আলাদা আসনে বসতে হত তাঁকে। শিখা মিত্রর ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দলের মধ্যে দাবি উঠেছে, সোমেন মিত্রের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তাঁদের যুক্তি যেহেতু সোমেন মিত্রর উপস্থিতিতেই এই মন্তব্য করা হয়েছে তাই দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙেছেন তিনিও। সেক্ষেত্রে তাঁকেও শাস্তি দেওয়া হোক। তবে সম্ভবত এখনই সোমেনবাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে না দল। কিন্তু সোমনবাবু কার কার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন, তা খতিয়ে দেখছে দল।