চালু হল ওয়েভার স্কিম
বকেয়া সম্পত্তি কর আদায়ের ক্ষেত্রে আগামীকাল থেকে ওয়েভার স্কিম চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পুরসভার মূল দফতর সহ মোট ১৭ টি কাউন্টারে জমা নেওয়া হবে বকেয়া কর। এইসব কাউন্টারে নগদ টাকা অথবা ডিমান্ড ড্রাফ্ট মারফত নির্দিষ্ট কর জমা দেওয়ার পর ইস্যু করা হবে এনওসি সার্টিফিকেট।
বকেয়া সম্পত্তি কর আদায়ের ক্ষেত্রে আগামীকাল থেকে ওয়েভার স্কিম চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পুরসভার মূল দফতর সহ মোট ১৭ টি কাউন্টারে জমা নেওয়া হবে বকেয়া কর। এইসব কাউন্টারে নগদ টাকা অথবা ডিমান্ড ড্রাফ্ট মারফত নির্দিষ্ট কর জমা দেওয়ার পর ইস্যু করা হবে এনওসি সার্টিফিকেট। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, এক লাখ টাকা পর্যন্ত বাকি করের ক্ষেত্রে সুদে ছাড় দেওয়া হবে ৯৫% শতাংশ। ১ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা বকেয়া করের ক্ষেত্রে সুদে ছাড়ের হার থাকবে ৭৫%। তবে বকেয়া করের পরিমাণ যদি ৫ লক্ষ টাকার ওপরে হয় তবে সেক্ষেত্রে সুদে ছাড়ের হার হবে ৫৫%। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ৯৯ % হারে মকুব করা হবে জরিমানা। এই দফায় মোট ২৬০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হতে চলেছে সেই ওয়েভার স্কিম।
বিরোধীদের অভিযোগ, আর্থিকভাবে সচ্ছল কিছু মানুষকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই স্কিম, অভিযোগ বিরোধীদের। অন্যদিকে ওয়েভার স্কিম চালু করে বকেয়া কর আদায় করতে গেলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে পুরসভা। সেক্ষেত্রে ওয়েভার স্কিমের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেসও।
এর আগে ২০০০ এবং ২০০৪ সালেও বকেয়া কর আদায় করতে চালু করা হয় ওয়েভার স্কিম। তবে তাতে বিশেষ কোনও লাভের মুখ দেখেনি পুরসভা। তাই ওয়েভার স্কিমের মাধ্যমে পুরসভার শূণ্য ভাঁড়ার ভরানোর এই চেষ্টা আদৌ কতটা ফলপ্রসু হবে তা নিয়ে থেকেই যাচ্ছে আশঙ্কা।