তিনদিনেও জল নামল না হাওড়ার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে
বৃষ্টি থেমেছে সোমবার। কিন্তু তিনদিনেও জল নামল না হাওড়ার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে। হাঁটুজলে দাঁড়িয়েই সারতে হচ্ছে ঘরের কাজ। শিকেয় উঠেছে পড়াশুনো। আর বাড়ির বাইরে পা রাখতে স্থানীয়দের ভরসা এখন ভেলা।
ওয়েব ডেস্ক: বৃষ্টি থেমেছে সোমবার। কিন্তু তিনদিনেও জল নামল না হাওড়ার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে। হাঁটুজলে দাঁড়িয়েই সারতে হচ্ছে ঘরের কাজ। শিকেয় উঠেছে পড়াশুনো। আর বাড়ির বাইরে পা রাখতে স্থানীয়দের ভরসা এখন ভেলা।
গাড়ি, অটো বা রিকশা নয়...হাওড়ার পঞ্চাশ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের এখন যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ভেলা। তাও আবার সেল্ফ মেড। রবারের টিউবের ওপর কাঠ বসিয়ে চলছে যাতায়াত।
এমনই অবস্থা পঞ্চাশ নম্বর ওয়ার্ডের ভূত বাগান, পেয়ারা বাগান, নস্কর পাড়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকার। ঘরের মধ্যে হাঁটুজল। আর বাইরে পা দিলেই কোমর ছাড়িয়েছে জলস্তর।
বাসিন্দারা বলছেন, ফি বর্ষায় এমনই হাল হয় এই এলাকার। জল নামতে সময় লাগে বিস্তর। ফলে বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ। পরিস্থিতি এমনই বন্ধ করে দিতে হয়েছে স্কুল।
অভিযোগ, নির্বিকার পুরসভা। সমস্যা যে আছে তা মানছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তবে জল কবে নামবে...তার কোনও সদুত্তর নেই।
সোমবার দুপুর থেকে টানা বৃষ্টিতে জল থইথই টিকিয়াপাড়া কারশেড। জলমগ্ন হাওড়া পুর নিগমের আটটি ওয়ার্ড। জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না শহরবাসী। তবে পুর নিগমের তরফ থেকে চেষ্টার ত্রুটি নেই বলেই দাবি মেয়র পারিষদ নিকাশির। তিনি অবশ্য পরিস্থিতির জন্য দায় চাপিয়েছেন রেলের কাঁধেই।
তবে রেল অথবা পুর নিগম, দায় যারই হোক স্থানীয় মানুষ চান জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি।