WB Assembly Election 2021: খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে, BJP বুঝতে পারছে কেরল-তামিলনাড়ুর মতো হাতছাড়া হচ্ছে বাংলাও: ব্রাত্য
কয়লা কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পত্তি। সব কোলিয়ারি প্রহরা দেয় সিআইএসএফ(CISF)। বিজেপি বলছে তৃণমূল ৯০০ কোটি টাকা কয়লা থেকে হপ্তা নিয়েছে। তাহলে ওরা কত কোটি টাকা নিয়েছেন?
নিজস্ব প্রতিবেদন: আমাদের কথা মতো খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি ক্রমশই কোণঠাসা হচ্ছে, ভয় পাচ্ছে। সভায় লোক হচ্ছে না। লোকের অভাবে সভা বাতিল করতে হচ্ছে। তৃতীয় দফার ভোটের আগে বিজেপিকে এভাবেই নিশানা করলেন ব্রাত্য বসু।
আরও পড়ুন- লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ ভোট, তৃতীয় দফায় ৮৩২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন কমিশনের
সোমবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রাত্য বসু বলেন, প্রথম দফার আগে মমতাদির নামে একটা ভুয়ো অভিযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল। দেখা গেল, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে মামলা রয়েছে তিনি তৃণমূল নেত্রী নন। দ্বিতীয় দফার সময়ে আরও একটি গুজব রটানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি আরও একটি আসন থেকে লড়াই করবেন। আমাদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আমাদের দলনেত্রী আর যেই হোক প্রধানমন্ত্রী নন যিনি ভয়ে দুটি কেন্দ্র থেকে লড়াই করেন। এসব করে হালে পানি না পেয়ে বিজেপি হয়তো ঘোষণা করবে, প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে ভোটে লড়বেন। ওরা যেভাবে গুজব ছড়াচ্ছে তাতে বলতেও পারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য লড়াই করবেন মোদীজি(Narendra Modi)।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ব্রাত্য বসু বলনে, বিজেপির একাধিক সাংবাদিক সম্মেলন দুর্নীতির অভিযোগ আনছে। এমনসব লোককে দিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে যাঁর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে এক স্টিং অপারেশনে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। আমরা যে কোনও তদন্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দাবি তদন্ত নিরপেক্ষ হোক। কিন্তু ওরা প্রমাণ করছে বিজেপি কতটা দামি ওয়াশিং মেশিন। যাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তাঁকে দিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ আনছেন।
আরও পড়ুন- NRC করতে দিইনি, আমি না থাকলে কেউ ভালো থাকবে না: Mamata
কয়লা কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পত্তি। সব কোলিয়ারি প্রহরা দেয় সিআইএসএফ(CISF)। বিজেপি বলছে তৃণমূল ৯০০ কোটি টাকা কয়লা থেকে হপ্তা নিয়েছে। তাহলে ওরা কত কোটি টাকা নিয়েছেন? এর জন্য কয়লা মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। এনিয়ে আমরা মামলা করব। আমরা মনে করি প্রথম ২ পর্যায়ের ভোটে বিজেপি খুব খারাপ ফল করেছে। দিল্লিতে ঘন ঘন মিটিং হচ্ছে যে তামিলনাড়ু ও কেরলের মতো হাত হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে বাংলাও।