DA Agitation: চাপ বাড়ছে রাজ্যের উপরে! ডিএ আন্দোলনকে এবার দিল্লি নিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা

DA Agitation:প্রসঙ্গত যৌথ মঞ্চ সূত্রে খবর, যৌথ মঞ্চের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর তির্যক মন্তব্যের প্রতিবাদে আগামী ৬ এপ্রিল অফিসে এসে খাতায় সই করেও কোনও কাজ করবেন না সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ। তবে শেষ পর্যন্ত তা সত্যিই এই পর্যায়ের মন্ত্রীদের কাছে বা দফতরে পৌছে দেওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে মঞ্চের নেতাদের মধ্যেই

অয়ন ঘোষাল: কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রেড রোডের ধারে ধরনায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একইভাবে রাজ্য সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে যে ধরনা চলছে তা এবার দিল্লি নিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন টানা তিন দিন যন্তরমন্তরে ধরনায় বসছেন যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ওই ধরনা হবে দিল্লিতে। ওই ধরনায় থাকছেন যৌথমঞ্চের কমপক্ষে ১২০০ প্রতিনিধি।

প্রসঙ্গত যৌথ মঞ্চ সূত্রে খবর, যৌথ মঞ্চের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর তির্যক মন্তব্যের প্রতিবাদে আগামী ৬ এপ্রিল অফিসে এসে খাতায় সই করেও কোনও কাজ করবেন না সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ। তবে শেষ পর্যন্ত তা সত্যিই এই পর্যায়ের মন্ত্রীদের কাছে বা দফতরে পৌছে দেওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে মঞ্চের নেতাদের মধ্যেই। দশ এবং এগারো এপ্রিল, অর্থাৎ ৪৮ ঘণ্টার দিল্লি কর্মসূচি সেরে ফের শহিদ মিনারমুখী হবেন নেতৃত্ব। পয়লা বৈশাখের পর যেকোনও দিন যৌথ মঞ্চের সঙ্গে বারোই জুলাই কমিটি সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের বৈঠক। সেই বৈঠক থেকেই এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার প্রশাসনিক ধর্মঘটের (যেমন দশই মার্চ হয়েছিল) তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

বৃহস্পতিবার ডিএ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'হাতে গোনা কয়েকজন লোক পেনডাউন করছে। যারা বসে আছে তারা চিরকুটে চাকরি পেয়েছে। জনগণের টাকা দিয়ে পেনডাউন হচ্ছে। তিন পাতার তালিকা আছে আমাদের কাছে। সব ফাইল খুঁজে রাখতে বলেছি। টাকা নিচ্ছে, পেনশন নিচ্ছে আরও চাই। এত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও রাজ্যে ১০৬ শতাংশ ডিএ দিয়েছি, ষষ্ঠ পে কমিশন করে সমস্ত এরিয়ারের টাকা দিয়েছি।'