Mamata Banerjee On CAA: ভোট বলেই সিএএ, গুজরাট মডেল বাংলায় করতে দেব না
গুজরাটের মোরবিতে ঝুলন্ত ব্রিজ ভাঙার পরিপ্রিক্ষিতে মমতা বলেন, রাজনীতি নয়, মানুষের জীবন বেশি দামী। মোরবির ওই ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় আমি স্তম্ভিত। যারা ওই দুর্ঘনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল
মানস চট্টোপাধ্যায়: গতকালই গুজরাটের ২ জেলায় বসবাসকারী পকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিমদের নাগরিত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা শাসকদের এনিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। গুজরাট বিধানসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে আপ, কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। বুধবার চেন্নাই যাওয়ার আগে এনিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ চেন্নাইয়ে স্ট্য়ালিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন-'রাজনীতির ঊর্ধ্বে জীবন', মোরবি বিপর্যযে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি মমতা
চেন্নাই যাওয়ার আগে মমতা কেন্দ্রের ওই বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা নিয়ে বলেন, গুজরাটে ভোট হচ্ছে তাই এমন সিদ্ধান্ত। গুজরাট মডেল বাংলায় করতে দেব না। ভোট রয়েছে বলেই সিএএ।
মমতার বক্তব্য নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, গুজরাট মডেল এখান হবে না। এটাই তো স্বাভাবিক। এখানে বন্দর হবে না। এখানে শিল্পপতিদের আসতে দেওয়া হবে না। সিএএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তাতে হয়তো মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন রাজ্যের মানুষ ঘুমিয়ে রয়েছে। গোটা দেশে সব সময়েই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। ভোট বলে সিএএ নয়। সিএএ হল বিজেপির রাজনৈতিক অবস্থান। রাজ্যে যখন বিজেপির ১ শতাংশ ভোট ছিল তখনও আমরা বলেছি, ওপার বাংলা থেকে যারা এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে।
গুজরাটের মোরবিতে ঝুলন্ত ব্রিজ ভেঙে প্রায় দেড়শো জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়েও সরব হয়েছেন মমতা। প্রসঙ্গত,কলকাতায় পোস্তা ফ্লাইওভার ভেঙ্গে পড়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ওই ঘটনা অ্যাক্ট অব ফ্রড। গুজরাটের মোরবিতে ঝুলন্ত ব্রিজ ভাঙার পরিপ্রিক্ষিতে এনিয়ে প্রশ্ন করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এনিয়ে বিমানবন্দরে মমতা বলেন, রাজনীতি নয়, মানুষের জীবন বেশি দামী। মোরবির ওই ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় আমি স্তম্ভিত। যারা ওই দুর্ঘনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। এতগুলো মানুষের মৃত্যু হল। এখনও অনেক নিখোঁজ। আরও কজনের দেহ মিলবে জানি না। কোনও দুর্ঘটনা আমাদের হাতে তাকে না। সরকার কোনও দুর্ঘটনা ঘটায় না। কিন্তু মোরবিতে যারা মারা গেল তাদের ঠিকমতো দেখভাল করা হয়নি। কারণ সরকার ভোটের প্রচারে ব্যাস্ত। ফিট সার্টিফিকেট নেই অথচ আগেই ব্রিজ খুলে দেওয়া হল। ওই দুর্ঘটনার তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের কোনও কমিটি দিয়ে করা উচিত। যারা ওই ব্রিজে মেরামতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সিবিআই, ইডি এনিয়ে সক্রিয় হচ্ছে না কেন?