National Medical College: হাত পেছন থেকে বাঁধা! কন্যাসন্তান জন্মের পরই হাসপাতালে মিলল প্রসূতির মৃতদেহ

ওই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুয়ায়ী ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।  নিরাপত্তার দায়িত্ব যারা ছিলেন তাদের গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিসও এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে

Updated By: Oct 31, 2022, 02:27 PM IST
National Medical College: হাত পেছন থেকে বাঁধা! কন্যাসন্তান জন্মের পরই হাসপাতালে মিলল প্রসূতির মৃতদেহ

পিয়ালি মিত্র ও মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগের পেছন থেকে উদ্ধার হল আছিয়া বিবি নামে সন্দেশখালির এক গৃহবধূর মৃতদেহ। গত ২৬ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরদিনই তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরদিনই তিনি নিখোঁজ। তাঁর দেহ মিলল প্রসূতি বিভাগের পেছনের দিকে। বাড়ির লোকজনের দাবি, আছিয়ায় হাত পেছন থেকে বাঁধা ছিল বলে মনে হচ্ছে। তবে প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। তদন্তে নেমেছে পুলিস ও একটি তদন্ত কমিটি।

আরও পড়ুন- ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর; মৃত বেড়ে ১৪১

যে জায়গায় ওই প্রসূতির দেহ পাওয়া গিয়েছে সেটি হল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রী রোগ বিভাগের ভবনের পেছনের দিকে। সেখান থেকেই আজ সকাল এগারোটা নাগাদ ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত গৃহবধূ  আছিয়া বিবির পরিবারের অভিযোগ, আছিয়ার দেহে বেশকিছু ক্ষত রয়েছে। শরীরের মাংস খুবলে নিলে যেমন ক্ষত হয় হয় তেমনটা। শুধু তাই নয়, পরিবারের আরও দাবি তাদের মনে হয়েছে আছিয়ার হাত পেছন থেকে বাঁধা ছিল।

উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর সন্দেশখালি থেকে এসে ন্যাশনাল মেডিক্যালে ভর্তি হন আছিয়া। পরদিনই একটি কন্য়া সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু গতকাল সকাল আটটার পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের সদস্যরা সকালে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলে তার দেখা পাননি। শুধু হয়ে যায় খোঁজাখুজি। হাসপাল চত্তর, হাসপাতালের বাইরের এলাকা তারা তোলপাড় করেন তাঁরা। এরপরই তারা বেনিয়াপুকুর থানায় একটি মিসিং ডাইরি করেন। স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। শেষপর্যন্ত ওই প্রসূতির দেহ পাওয়া যায় প্রসূতি বিভাগের পেছনে।

এদিকে, ওই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুয়ায়ী ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।  নিরাপত্তার দায়িত্ব যারা ছিলেন তাদের গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিসও এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। গাইনি বিভাগের পেছনে যেখান থেকে আছিয়ার দেহ উদ্ধার হয় তার উপরে ভবনের জানলাগুলি থেকে পড়ে যাওয়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা আপাতদৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে না। তাহলে তার ওই মহিলার মৃত্যু হল কীভাবে? কীভাবেইবা দেহ ওই জায়গায় এল? ময়না তদন্তের পর এনিয়ে বেশকিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে। হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে নেমেছেন হোমিসাইড শাখার পুলিস।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.