বাহারি কম্বলের গ্ল্যামারে হেরে মুখ লুকিয়ে কাঁদে লেপ
শীত ঘরে। লেপ বাইরে। কয়েক বছর আগেও ছবিটা ছিল এইরকম। কিন্তু সেই ট্র্যাডিশন এখন আর কোথায়? লেপের জায়গা নিয়ে নিয়েছে বাহারি কম্বল। আর এবছর তো এখনও পর্যন্ত তা বের করার সুযোগটুকুও হয়নি। কিন্তু লেপ-তোষক বানিয়েই যাদের ঘর-সংসার চলে, এটাই যাদের উপার্জনের পথ, তাঁরা যাবেন কোথায়?
শীত কোথায়? আদৌ এযাত্রা পড়বে তো? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। ......শীতের সকালে লেপ মুড়ি দিয়ে, বেলা পর্যন্ত ঘুম। তা হওয়ার চান্সটাই তো পুরো মাঠে মারা যাচ্ছে। শীতও নেই। লেপ বেরোবে কীভাবে! তার ওপর এবার বাজারে যবে থেকে কম্বল হাজির, তবে থেকে একটু একটু করে লেপের গ্রাফ নিম্নগামী। চাহিদা আগের চেয়ে অনেক কম। বলছেন কারিগররাই।
ট্র্যাডিশন অনুযায়ী এখনও বিয়েতে লেপ-তোশক দেওয়া নিয়ম। তাই বিয়ের মরসুমে একটু-আধটু হয়ত অর্ডার বাড়ে।তাতেও আজকাল ভাগ বসাচ্ছে রংবেরঙের কম্বল।
শুধুমাত্র ট্র্যাডিশনের ভরসায় আর কতদিন চলবে? নেক্সট জেনারেশনের কেউই তাই আর লেপ তৈরির কাজে হাত লাগাতে নারাজ। ছেলেমেয়েদের এই পেশায় আনতে চান না এরাও।... লাভ কী! ভবিষ্যত যে অন্ধকার....