ডিম আগে না মুরগি? বিজ্ঞান বলছে মুরগিই আগে
আন্ডে সে মিলতা মুরগি? নাকি মুরগি সে মিলতা আন্ডা? প্রশ্নের জবাব দিতে দিনরাত চুল ছিঁড়েছে বিজ্ঞেরা। তাও মেলেনি উত্তর। কেউ কেউ তো মাথা চুলকে চুলকে শেষপর্যন্ত প্রশ্নটাই উড়িয়ে দিয়েছে। অবশেষে প্রশ্নের উত্তর পেলেন বিজ্ঞানীরা। যা বলছে, মুরগিই আগে, ডিম পরে।
আন্ডে সে মিলতা মুরগি? নাকি মুরগি সে মিলতা আন্ডা? প্রশ্নের জবাব দিতে দিনরাত চুল ছিঁড়েছে বিজ্ঞেরা। তাও মেলেনি উত্তর। কেউ কেউ তো মাথা চুলকে চুলকে শেষপর্যন্ত প্রশ্নটাই উড়িয়ে দিয়েছে। অবশেষে প্রশ্নের উত্তর পেলেন বিজ্ঞানীরা। যা বলছে, মুরগিই আগে, ডিম পরে।
বিজ্ঞান বলছে একমাত্র মুরগির শরীরের ভিতরে থাকলেই ডিমের অস্তিত্ব থাকতে পারে। ওভোক্লেডিডিন-17 নামক একটি প্রোটিন ডিমের খোসা তৈরি হতে সাহায্য করে। কুসুমের বৃদ্ধি ও নতুন মুরগির জন্ম হতে এই খোসা ও ফ্লুইড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী শেফিল্ড ও ওয়ারউইক ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা ডিমের গঠন প্রক্রিয়ার ওপর সুপার কম্পিউটার জুম করেন। পরীক্ষা প্রমাণ করেছে ডিমের গঠনের জন্য ওসি-17 প্রোটিনের প্রয়োজন আবশ্যক।
এই প্রোটিনের ক্যালসিয়াম কার্বোনেটকে ক্যালসাইট ক্রিস্টালে পরিণত করে যা ডিমের শক্ত খোসার গঠন তৈরি করে। অনেক প্রাণীর শরীরের হাড়ের মধ্যেও ক্যালসাইট ক্রিস্টাল পাওয়া যায়। কিন্তু মুরগির শরীর যে কোনও প্রাণীর থেকে এই ক্রিস্টাল বেশি তাড়াতাড়ি তৈরি করে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৬ গ্রাম করে ক্যালসাইট ক্রিস্টাল তৈরি হয় মুরগির শরীরে। শেফিল্ড ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিয়ারিং মেটিরিয়াল বিভাগের ড. কলিন ফ্রিম্যান জানিয়েছেন, অনেকদিন ধরেই মনে করা হত ডিম মুরগির আগে এসেছে। কিন্তু এখন বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত যে মুরগি ডিমের আগে এসেছে।