Durga Puja 2023: বাইনারি কোড | ছোট গল্প | সন্তু ধর

আমার মাসতুতো দাদা। পি এইচ ডি করছে বার্মিংটন ইউনিভার্সিটি পশ্চিম  ভার্জিনিয়াতে। দুর্গা পুজো উপলক্ষ্যে এসেছে। আজ প্রতিপাদ। সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেল। ছাদের ওপর এলাম ব্রাশ করতে করতে। দেখতে পেলাম দাদা ছাদের ঠিক মধ্যিখানে একটা গোল বৃত্ত এঁকেছে। 

Updated By: Oct 20, 2023, 06:56 PM IST
Durga Puja 2023: বাইনারি কোড | ছোট গল্প | সন্তু ধর

সন্তু ধর 

- বাইনারি নম্বর নিয়ে আইডিয়া আছে?

চশমাটা দু হাতে ধরে মুখের বাষ্প দিয়ে পরিষ্কার করতে করতে প্রশ্ন করলে বিনু দা। আমার মাসতুতো দাদা। পি এইচ ডি করছে বার্মিংটন ইউনিভার্সিটি পশ্চিম  ভার্জিনিয়াতে। দুর্গা পুজো উপলক্ষ্যে এসেছে। আজ প্রতিপাদ। সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেল। ছাদের ওপর এলাম ব্রাশ করতে করতে। দেখতে পেলাম দাদা ছাদের ঠিক মধ্যিখানে একটা গোল বৃত্ত এঁকেছে। আমি হাতের ইশারায় জিজ্ঞেস করায় এই প্রশ্ন করলো আমায়। আমি পেস্ট সহ থুতু ফেলে এসে বললাম
- ওই তো 'শূন্য' আর 'এক' এর একটা রিপিটেঠিভ সিকোয়েন্স। এটার ওপর ভিত্তি করেই তো ডিজিটাল সব কিছু।
- বাহ: আর্টস এর স্টুডেন্ট হয়ে দিব্বি ভালোই সায়েন্স রপ্ত করেছিস দেখছি।

আরও পড়ুন, Durga Puja 2023: স্পার্কলিং ওয়াইন...

আমি একটু লজ্জাই পেলাম। ছেলেবেলা থেকে মিডিও কার স্টুডেন্ট হিসেবে কোনোদিন ই সেরকম প্রশংসা শুনি নি। বরাবর ই অমুকের ছেলে তমুকের মেয়ের সাথে তূল্যমূল্য বিচারে দোষী সাব্যস্ত। আমি হেসে বললাম
- ওই সব সোশ্যাল মিডিয়া গুগল এর দয়া।
দাদা এক হাঁটু মুড়ে বসে ছিলো। উঠে দাঁড়িয়ে পাজামার ধুলো ঝেড়ে বললো। দ্যাখ বিল্টু এইখানে এখন জিরো লিখলাম। এই বৃত্ত কে কেন্দ্র করে তুই ইচ্ছে হলেই আমার আমেরিকার লাইব্রেরি টা দেখে আসতে পারিশ।

আমি ব্রাশ করছিলাম। থামিয়ে একটু সন্দেহ মেশানো চোখে দাদার দিকে তাকালাম। দাদা এক মুখ হেসে বললো। আরে আমি তো ফিজিক্যাল ট্রান্সপোর্টেশনের কথা বলছি না। বলছি মেন্টাল ট্রান্সপোরটেশনের কথা।
- ( থুতু ফেলে, মাথা ঘুরিয়ে) সেটা না হয় বুঝলাম কিন্তু আমি তো কখনো তোমার লাইব্রেরি দেখি নি। কি করে বুঝবো বা দেখবো?

দাদা ছাদের গার্ড ওয়ালে উঠে বসে বললে

-আমাদের প্রাচীন গ্রন্থ গুলোর মধ্যে বেদ সর্বোত্তম। এর ওপর নাম শ্রুতি। মানে শুনে শুনে লেখা। কিন্তু অবাক হবি জেনে বেদের প্রতিটা শ্লোক আসলে বেশ কিছু বাইনারি কোডের প্রোগ্রামিং।

আমি শুনে থ মেরে গেলাম। আমার মুখ টা হা হয়ে রোইল কিছুক্ষন। দাদা আমার হাত টা ধরে টেনে এনে রেলিং এ ঠেস দিয়ে দাঁড় করালো।

- বিল্টু এই বাইনারি কোডের প্রোগ্রামিং টা  ডি কোড করাই আমার গবেষণার মূল উদ্দেশ্য বুঝলি।

- তা কতদূর এগোলে?? রেলিং এ ব্রাশের শেষ মাথাটা ঠুকতে ঠুকতে জিজ্ঞাসা করলাম।

- এগিয়েছি অনেকটাই। মাস লেস ট্রান্সপোর্টেশন এর দর গোড়ায় আছি বলতে পারিশ। বাই দ্যা ওয়ে। পাশের বাড়ির মেয়েটি তোকে খুব পছন্দ করে মনে হচ্ছে।

আমি চমকে ঘুরে তাকিয়ে দেখলাম শিঞ্জিনি কে দেখা যাচ্ছে কিনা। না নেই। দাদার দিকে তাকিয়ে  যতটা সম্ভব গাম্ভীর্য বজায় রেখেই ডিনায় করলাম। কিন্তু দাদা দেখলাম দান হাতের তর্জনী দিয়ে বাম হাতের তালুতে বৃত্ত আঁকতে আঁকতে বললো-

- ওই তো মেয়েটি দুটো বাসন ধরার নুড়ি কাপড় মিছে মিছে ধুয়ে শুকতে দেওয়ার ভান করে ছাদে আসছে।
আমি দাদার কমেন্ট্রি শুনে শুনে মেলানোর চেষ্টা করলাম। হ্যাঁ। 100% পারফেক্ট।

- এত ম্যাজিক দাদা। কিন্তু প্লিজ বাড়ির কারকে ভুলেও বোলো না। ইচ্ছে আছে অষ্টমীর সন্ধ্যেতে প্রপোজ করার।

দাদা হাত জোড় করে বললে

আরও পড়ুন, Durga Puja 2023: সমাজ, আমরা ও মহীনের সাত তলা বাড়ি

- স্যার আমি কিছু দেখি নি। ( হাসি) চল ব্রেকফাস্ট টা করে নেওয়া যাক। মাসি তো আবার মাটন ঘুগনি আর পরোটা করেছে।

- তাই ! চলো চলো। মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নে দেরি করে লাভ নেই।

কুমোরটুলি এসেছি তাও প্রায় ঘন্টা দু এক হলো। দাদা প্রায় প্রতি শিল্পীর সাথে 10-15 মিনিট করে গ্যাজাচ্ছে। প্রথম দু একজনের সাথে আলাপে আমিও ছিলাম কিন্তু এত্ত সব বোরিং প্রশ্ন, বাধ্য হয়ে সোলার অলংকারের কারখানার বাইরে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরালাম। সামনে এক ব্যক্তি। বেশ স্থূলকায় চেহারা। আঙ্গুলের চাপ দিয়ে দিয়ে কলকা পেস্ট করছে। সিগারেট শেষের দিকে দাদা এলো। এক গাল হাসি আর বুকে হাফ বাস্ট আইকনিক দুর্গা আইডল। প্লাস্টিক আর সোলা দিয়ে তৈরি। অদ্ভুত দেখাচ্ছিল। আমি বললাম
- প্লেনে নিতে দেবে??
- তোর জন্য।
- ধ্যূর ও নিয়ে আমি কি করবো। বেটার তুমি ফেরত দিয়ে এস। আমার এসবে ইন্টারেস্ট নেই।
দাদা ঠাকুরের পট টা সামলে বগলে চেপে ধরে এগোচ্ছে। আমার একটু খারাপ ও লাগছে। মানে এভাবে ডিরেক্ট না বলাটা ঠিক হয় নি। আমি নীরবতা ভেঙে বললাম, চাপ নেই ওপরে দিদানের ঘরে টাঙিয়ে দেব। দাদা ঘুরে তাকিয়ে ছোট্ট দীর্ঘ নি:স্বাস ফেলে বললে

- আচ্ছা তোর মনে হয় না কি মহিষাসুর পলিটিক্যাল ভিক্টিম!!?
- নট কমপ্লিট লি কিন্তু লোকটার ইমোশন দুর্গার থেকে যে বেশি ছিল সেটা অস্বীকার করা যায় না। আর এই আবেগের জন্যেই বিষ্ণু টুক করে লুপ হোল টা রেখে দিল।
- আর সেই লুপ হোল টাই হলো এই দেবী দুর্গা। দ্যা ওয়ানডার ওমেন উইথ টেন হ্যান্ডস।

একটা ট্রাম গেল। রাস্তার দুপাশে সাড়ে সাড়ে টানা রিকশা। আমি মোবাইলে দু একটা ছবি নিলাম। দাদার ফেসবুকের কভার করার জন্যে একটা ওয়াইড শট ও নিলাম। কম্পোজিশন স্ট্রং করার জন্যে একটা রিকশার ওপরে দুর্গা র কাট আউট তা রেখে ঠিক অপসিট ফুটে দাদা কে একটু স্টাইল করে দাঁড়াতে বললাম। খুব ভালো এলো ছবিটা। দাদার মুখের হাসি দেখে বুঝলাম কিছুক্ষন আগের অভিমান গোলেছে। আমি একটু আশ্বস্ত হলাম। ফেরার পথে গোলবাড়ির কষা মাংস আর পরোটা নিলাম। সাথে দুটো বিয়ার। ছাদের ওপর হোল নাইট প্রোগ্রাম বানিয়ে ফেললাম আজ রাতের।

রাত 3 টে হবে।দেখলাম দাদা ছাদের সেই গোল বৃত্তের ওপর বসে। দাদা ডান হাত টা ওপরে তুলে তর্জনীর ইশারা করলে, আমি দেখলাম ঠিক মাথার ওপরই ধ্রুব তারা। দাদার ঠোঁট বির বির করছে। আমি বিয়ারের বোতল টা নিয়ে সিনেমা দেখার মত করে বসে পরলাম।

দাদা ওই এক ই ভঙ্গি তে 30 মিনিট মতো ছিল। আমি কিছু একটা ম্যাজিকের অপেক্ষায় ছিলাম । কিন্তু না কিছুই ঘটলো না। খুব দুঃখিত হয়ে রেলিংয়ের কোনায়  যেই মুত তে এগিয়েছি। হটাৎ ধপ ধপ করে শব্দ হলো। মনে হলো কিছু ভারী জিনিস পড়লো এসে। আমি দাদার দিকে এগিয়ে গেলাম। অবাক হলাম দেখে যে গোটা পাঁচেক ভারী ভারী বই দাদার সামনে পরে আছে। দাদা বই গুলো গোছাতে গোছাতে বললো, আসার সময় বই গুলো ফেলে এসেছিলাম তাই টুক করে গিয়ে নিয়ে এলাম। আমি বোকার মত দু মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ারের বোতল টা হাত দিয়ে তুলে ধরে দেখলাম। আর তারপর অন্ধকার।

ঘড়িতে 11 টা বাজে। বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে আছি। দুটো পেল্লায় গ্যাস এলো। মনের সুখে ছাড়লাম। মনে করতে পারছিলাম না ডেট কত, কি বার। এমন সময়ে মাথা ঘোরাতেই দেখলাম রিডিং টেবিলে চারটে বই। সেই গতকাল রাতের।

আমি ধরমরিয়ে উঠে বসলাম। দাদা কি ছাদে। গায়ে গেঞ্জি গলিয়ে ছুট পায় ছাদে গেলাম। না ছাদ ফাঁকা। ছাদের মধ্যেখানে দাগ টার খোঁজ করলাম। না নেই। নিচে এসে রান্না ঘরে মায়ের খোঁজে গেলাম। রান্না ঘর ও ফাঁকা। সারা বাড়ি অদ্ভুত নীরবতা। আমি দু বার মা বলে ডাক দিলাম। সারা নেই। বাইরের দরজা খুলতেই দেখি মা, দিদান আর বাবা টোটো থেকে নামছে। আমায় দেখে তিনজনেই অবাক। মা দৌড়ে এসে একটা জোড়ে থাপ্পড় মেরে বললে
- হারামজাদা, কৈ গিয়েছিলি, আমার হার মাস না জ্বালালে হয় না। থানা পুলিশ করিক সার। বাবু বাড়ির ভেতর থেকে বেড়াচ্ছেন।

অন্য সময় হলে হয়তো আমি অন্য রকম রিয়েক্ট করতাম। কিন্তু আজ নিজের অপমানের থেকেও বড় প্রশ্ন দাদা কোথায়!?

বাবা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললে
- বাবু ড্রাগ নিচ্ছিস না তো বাবা।

দিদান শুধু বললে
- আ ফুৎ ( স্নেহের সন্তান) তুই আঁড়ার পল মনে কোরইস ন?

মা জ্বলন্ত চোখে বললে
- এই স্মার্টফোন টাই কাল হয়েছে।

আর আমি দাদার সাথে যা যা এক্সপেরিয়েন্স করেছি সেটা ইন ডিটেল এ এদের তিনজন কে বলে একটা ত্রিশঙ্কু কোনফিউশনে উদ গান্ডুর মতো বসে আছি।আর এটা জেনে আর ও নিজেকে বোকাদাচো মনে হলো যখন জানলাম দাদা আসেই নি।

অপমান, সন্দেহ, আর হাজার খানেক উপদেশ গিলে আমি যখন পুরো পাকিস্তান বলে নিজেকে খিস্তি করছি ঠিক সেই সময়ে বই গুলোকে দেখে একটু ভয়ও করতে লাগলো।  তবুও শিঞ্জিনির কসম খেয়ে বই গুলো নিলাম। একটা বেদান্ত এন্ড কস্মিসিজম, দ্বিতীয় টা বাইনারি কোড এন্ড ট্রান্সপোর্ট মেকানিজম আর শেষের টা সোল ভার্সেস বিটস। সব কটি বই ই দাদার লেখা। আমি একটা বই এর কভার উল্টো তেই দেখলাম একটা ব্লু কালারের বোতাম অনেকটা জেমস চকোলেট এর মত আটকানো। আর তার নিচে লেখা, প্লিজ স্টিক ইট ইন ইওর ফোরহেড। আমি দ্বিধা নিয়েও  আটকে নিলাম কপালে।

এর পর মনে হলো আমি শূন্যে প্রায় 1000 কিমি গতিতে ছুটছি। আশপাশ শুধু কালারফুল ওয়েব। আমার ওজন নেই বললেই চলে। এসে থামলাম একদম নির্জন একটা পার্কে। দেখলাম বোর্ডে লেখা 14 স্ট্রিট। মানে আমি আমেরিকাতে!

বেঞ্চে বসে উত্তেজনায় পা নাচাচ্ছি। দাদা এলো 5 মিনিট পরে। কিছু বলার আগেই হেসে বললো। সরি ব্রো, গবেষণাতে তোকে ইউজ করার জন্যে দুঃখিত।
এর পর পাক্কা 2 ঘণ্টা কথা হলো। যা শুনলাম সেটাই লিখে দিচ্ছি হু বহু

"আর্যভট্টের শূন্য আবিষ্কার সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি তে একটা গাণিতিক মাইলস্টোন হলেও আসলে তিনি আমাদের পূর্বজ এলিয়েন বংশের সেই কোড আবিষ্কার করে ছিলেন যা এখন আমরা বাইনারি কোড নামে জানি। একম এবং অদ্বিতীয়ম। অর্থাৎ এই ইউনিভার্স এক। শূন্য। এক। মানে ডিজিট ফর ডিজিটাল কনভার্সন। 100101 এইভাবেই আমরা ডিজিট্যালি ডেটা ট্রান্সপোর্ট করি। আমার স্ট্রাইকিং পয়েন্ট টা ছিল ডেটা নয় ফিসিক্যাল বডি কে কিভাবে কোডের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এই খোঁজে আমি একদিন বেদের সুক্ষ দেহে যাতায়াতের বিষয়ে উল্লেখ পাই। সুক্ষ দেহ মানে অনলি soul। অর্থাৎ ট্রাভেল বিটুইন টু ব্রেন। কারণ ব্রেন ই সেই মাদারবোর্ড যে কিনা স্টোর করা, বিশ্লেষণ করার কাজ করে। আমাদের চোখ সামনের মানুষটিকে দেখতে পায়। মানে আলোর পার্টিকেল গুলোকে ডেটা হিসেবে স্টোর করে। সেই সঞ্চিত ডেটা যখন একসাথে মেলে তখন ই আমরা রেকগনাইজ করতে পারি।

ব্রেনের এই সূত্র কে ধরেই আমি ব্লু চিপ টা তৈরি করলাম। সফল কিনা বোঝার জন্য তোকে টার্গেট করলাম। কারণ তুই আমার লাইক মাইন্ডেড। সেক্ষেত্রে ব্রেনের সিংক্রোনাইজেশন টা পারফেক্ট হবে।

- তাহলে তুমি বা এই এখনের আমি এটা শুধু বাইনারি ইমেজ!??

- হ্যাঁ। একদম ই তাই। কিন্তু ফিসিক্যাল এভিডেন্স গুলো? মানে এক্টিভিটি!

- ওটাও তো প্রি রেকর্ডেড। আমাদের প্রত্যেকের প্রতিদিন 30-40 টা চুল ঝরে পড়ে। শরীরের চামড়ার পরিবর্তন হয়। কিন্তু আমরা নোটিস করি না। বেশির ভাগ অবসার্ভেশন ইন ডেইলি এক্টিভিটিস পুরোটাই প্রি রেকর্ডেড।

- উফফ, এত তাফাল আবিষ্কার। এস একটা টাইট হাগ দাও।

এই বলে যেই আমি দাদার দিকে এগোলাম। দেখলাম পুরো শরীর টা অজস্র আণবিক কিউব হয়ে ঝরে পরলো। আর সাথে সাথেই আমার জ্ঞান চলে গেল।

টেবিলে বই গুলো নেই। চারটে পাতা পরে আছে। ছেঁড়া। তার এক কোনে লেখা

" বিল্টু ওরা আমায় মেরে ফেললো। এটা আমার ব্রেন লাস্ট ট্রান্সমিট করছে। পারলে তুই চেষ্টা করিস।"

আমি কাগজ টা হাতে নিয়ে বসে রইলাম। শুধু মনে হলো ঘরের প্রতিটা জিনিষ বাইনারি কোড এ ট্রান্সক্রিপ্ট হচ্ছে। ভাঙছে । গড়ছে। আর দাদা সেই ভাঙা গড়ার মারিও ক্যাসলের ওপর দিয়ে ছুটছে আর বলছে বিল্টু ক্যাপচার কর। রেকর্ড কর।

আরও পড়ুন, Durga Puja 2023: শেষ চিঠি

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.