এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত পর্যটন, প্রতিদিনই বাতিল হচ্ছে ডুয়ার্সের বুকিং
এনসেফ্যালাইটিসের থাবা পর্যটনেও। মুর্হুমুহু বাতিল হচ্ছে বুকিং। ফি বছর বর্ষায় ডুয়ার্সে ঘর পাওয়াই মুশকিল হয়ে ওঠে। এবার ছবিটা একেবারে আলাদা। এনসেফ্যালাইটিসের ভয়ে ইতিমধ্যেই বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন দেশি-বিদেশি বহু পর্যটকই। এমনকী পুজোর বুকিংয়েও ভাঁটা।
প্রতি বছর বর্ষায় ডুয়ার্সের পর্যটকের ঢল নামে। কিন্তু এবার ছবিটা পাল্টে দিয়েছে এনসেফেলাইটিস। পর্যটন ব্যবসায় রাজনৈতিক সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ একটি বড় ফ্যাক্টর । তেমনই রোগের প্রাদুর্ভাব পর্যটনের ভরা মরশুমে আঘাত আনতে পারে। সেটাই সত্যি হয়ে উঠেছে এক্ষেত্রে। পর্যটন মানচিত্রে রাজ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ডুয়ার্স। বিদেশি পর্যটকরা ডুয়ার্সকে ট্রানজিট ডেস্টিনেশন করে ছুটে যান সিকিম, ভুটান। এবার বাদ সেধেছে এনসেফেলাইটিস। এনসেফেলাইটিস নিয়ন্ত্রণে না এলে অনেকেই গন্তব্য বদলে দার্জিলিং, সিকিম বা অন্য কোনও জায়গা বেছে নিতে পারেন। ডুয়ার্সে জুলাইয়ের বহু বুকিং বাতিল হয়ে গেছে।
পুজোর বুকিং নিয়ে দোটানায় পর্যটকরা। খবর নিচ্ছেন একাধিক পর্যটন সংস্থার কাছে। এই দোলাচলে পুজোর মরসুমেও টুরিস্ট হারাতে পারে ডুয়ার্স। শুধুমাত্র ডুর্য়াসের লাটাগুড়িতে তিরিশটিরও বেশি হোটেল। হোটেলে পর্যটক নেই বললেই চলে। ফলে মার খাচ্ছে জিপ সাফারি, এলিফ্যান্ট সাফারির ব্যবসাও। পর্যটন ব্যবসার উপরেও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল অনেকেই। তাঁদেরও রুটি রুজিতে টান পড়েছে।